হত্যাকান্ডের ২০ দিন পর জানতে পারি বাবা-মা’সহ কেউ জীবিত নেই : প্রধানমন্ত্রী

হত্যাকান্ডের ২০ দিন পর জানতে পারি বাবা-মা’সহ কেউ জীবিত নেই : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, ১৬ আগস্ট ২০১৬ : ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ২০ দিন পর সে সময় বিদেশে অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকেই প্রথম জানতে পারেন তাঁদের বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বেঁচে নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জার্মানি থেকে দিল্লি­ পৌঁছলাম ২৪ আগস্ট। ইন্দিরা গান্ধী বারবার খবর পাঠাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে দেখা হলো ৪ সেপ্টেম্বর। তার মুখ থেকে শুনলাম কেউ বেঁচে নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা এবং ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ঘটনার ১৫ দিন আগে শেখ হাসিনার স্বামীর কর্মস্থল জার্মানি চলে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান।
অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন।
এ ছাড়া সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ‘৩২ নম্বর মেঘের ওপারে’ শীর্ষক একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোক দিবস উপলক্ষে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫’র এর ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের মাত্র ১৫দিন আগে ৩০ জুলাই জার্মান যাই। ড. ওয়াজেদ ছাত্র ছিলেন। কিন্তু উনি চাচ্ছিলেন আমি সেখানে যাই। এক পর্যায়ে আব্বা নিজেই বলেছিলেন, আচ্ছা যাও। অনেকটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে দেশ ছাড়ি। রেহানাকেও সঙ্গে নিয়ে যাই। মা’ও দিয়ে দিলেন, আমার মা যাওয়ার সময় আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না, যাওয়ার দিন কেন আমার মা এভাবে কেঁদেছিলেন। মাকে আমি কখনও এভাবে কাঁদতে দেখিনি। আমার মা খুব চাপা স্বভাবের ছিলেন, তিনি কখনও তার অভাব অভিযোগের কথা বলতেন না। যাওয়ার সময় তাকে এভাবে আকুল হয়ে কাঁদতে দেখে বললাম, মা তুমি এভাবে কাঁদলে আমি যাবো না। আমি জানি না, তিনি কিছু বুঝতে পেরেছিলেন কি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ১৩ অগাস্ট মা এবং বাবার সাথে আমার নেদারল্যান্ড থেকে শেষ কথা হয়। এ সময় নেদারল্যান্ড কিভাবে নদী থেকে জমি উদ্ধার করছে (ল্যান্ড রিক্লেমেশন প্রজেক্ট) এ বিষয়ে আমাদের কথা হয়।
মা’র সঙ্গে সেদিন টেলিফোনে শেষ কথার সময়ও তাঁর মা বেগম মুজিব খুব কেঁদেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেদিনও তিনি খুব কেঁদেছিলেন। বলেছিলেন তুই আয়, তোর সঙ্গে অনেক কথা আছে। আর সে কথা হয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্বা পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে দেখতে বলেছিলেন। জার্মানি পৌঁছে আমরা আব্বা-আম্মাকে চিঠি লিখতাম। রেহানা চিঠি লিখতে খুবই ভালোবাসতো। কিন্তু তাঁর শেষ চিঠিটা আর পরিবারের কাছে পৌঁছায়নি। তাঁর আগেই সব শেষ হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে- দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল বক্তব্য রাখেন।
ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার চিন্তা করছিলেন জানিয়ে বলেন, ‘তারপর মনে হলো দেশে আসবো। কিন্তু ততক্ষণে যারা সরকারে এসেছে তারা আমাদেরকে দেশে ফিরতে দেবে না। এরপর ক্ষমতায় আসলো জিয়াউর রহমান। তিনিও খবর পাঠালেন, যেন আমরা কেউ দেশে ফিরতে না পারি। পরে আমরা সেখানেই আশ্রয় নিয়ে থেকে গেলাম।’
ছয়টি বছর বলতে গেলে এক রকম ভারতেই ছিলেন বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, মাঝে ছোট বোন শেখ রেহানার বিয়ে হয়। আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান এই বিয়ে আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন। লন্ডন থেকে শেখ রেহানার শ্বশুর-শাশুড়ি এসে নিয়ে যান রেহানাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া সদস্য। অথচ আমিই তার বিয়েতে যেতে পারিনি। কারণ, আমার কাছে বিমান ভাড়া ছিল না। পরে ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি লন্ডনে যাওয়ার টিকিট আর আবাসনের ব্যবস্থা করে দেন। এরপর সন্তান সম্ভবা বোনকে দেখতে লন্ডন যান বলে জানান শেখ হাসিনা।
পচাত্তরের ১৫ আগস্টে তাঁরা বেলজিয়ামে ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করলে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমাদের কোন রকম সহযোগিতা দিতে অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেন তাঁর কাছে বোঝা হয়ে গেলাম।…তিনি জার্মাানীতে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী সাহেবকে ফোন করে বললেন আাপনি যে মেহমান পাঠিয়েছেন তাদের নিয়ে যান।… আমাদেরকে জার্মানী যাবার জন্য তার (রাষ্ট্রদূতের) গাড়িটা দিয়ে পর্যন্ত সীমান্তে এগিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করতে সে রাজি হল না। বলল গাড়ি নষ্ট।’
দূতাবাসের ফাষ্ট সেক্রেটারি যিনি প্রধানমন্ত্রীর ক্লাসমেট ছিলেন তাঁর এবং তাঁর স্বামীর সহযোগিতায় তাঁরা সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে পৌঁছলে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী তাদের জার্মানীতে নিয়ে যান বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, তখন লন্ডনেও পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। আমরা সভা করতে গেলেই ছুরি নিয়ে মারতে আসতো। এর মধ্যেই জনসভা করি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই। এর আগেই অবশ্য শেখ রেহানা সুইডেনে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে একটি সমাবেশ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিখ্যাত রাজনীতিক স্যার টমাস উইলিয়ামস তখন সব জানতে পেরে বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্ত করতে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তাকেও বাংলাদেশে আসতে দেননি।
আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার জন্য, কষ্টের মধ্যে আমাদের আঘাত করতে সেজে-গুজে তিনি এ দিনটিতে ভূয়া জন্মদিনের উৎসব করতেন। তার জন্মদিন ১৫ আগস্ট নয়। খুনিদের বোঝাতেন, তিনি তাদের সঙ্গে আছেন।
এবারের জন্মদিনে বেগম জিয়ার ঘটা করে কেক কেটে জন্মদিন পালনে বিরতী দেয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল সেটা পালন করেননি (কেক কেটে জন্মদিন পালন)। অনেকে এর মধ্যে রাজনৈতিক উদারতা দেখার চেষ্টা করেছেন। আমি তো জানি মূল কারণ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১২ আগস্ট কোকোর জন্মদিন, সেদিন কোকোর জন্মদিন পালন করতে পারবে না বলে নিজের জন্মদিন পালন করেননি। তাছাড়া এটা তো তার জন্মদিন নয়। এখানে কোনো রাজনৈতিক উদারতা নেই।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় চায়নি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো তারাই ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট আমার মা ফজিলাতুননেছাও খুন হন। যার সাহস আমার বাবার পাশে ছিলো, তাকেও রেহাই দেয়নি ঘাতকরা। আমার ভাই, মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, মুক্তিবাহিনী থেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া শেখ জামাল, তাদের নবপরিণীতা বধু, জন্মের পর থেকেই অধিকাংশ সময় জেলে থাকায় বাবার ¯েœহ বঞ্চিত ১০ বছরের ছোট ভাই রাসেল, তাঁর কি অপরাধ ছিলো। তাকেও ঘাতকরা রেহাই দেয়নি।
৭৫’র এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি হারিয়েছি বাবা-মা, ভাই আত্মীয় পরিজনকে। বাঙালি হারিয়েছে মহান নেতাকে, জাতির ভবিষ্যতকে। ঘাতকের নির্মম বুলেট কত তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। যার নেতৃত্বে স্বাধীনতা পেয়েছি তাকে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছে। শ্রদ্ধা জানাই তার প্রতি।
১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকবো এ চিন্তা কখনও করিনি। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে হবে-এটা জানতাম। ১৯৮১ সালে আমাকে যখন সভাপতি নির্বাচিত করা হয় তখন দিল্লী থেকে ফিরে আসি। ১৭ মে যখন দেশে ফিরে আসলাম তখন লাখো মানুষের ঢল।’
ফেরার পর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি শেখ হাসিনা। বলেন, ‘যখন এই দেশ ছেড়ে যাই তখন তেজগাঁও বিমানবন্দরে কামাল, জামাল, তাদের স্ত্রী সবাই ছিল। ফিরে এসে কাউকে পাইনি।’
শেখ হাসিনা জানান, দেশে ফেরার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি তাকে যেতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘সেখানে যেতে চেয়েছিলাম একটু মিলাদ পড়বো। কিন্তু ওই বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাইরেই রাস্তায় বসে মিলাদ পড়ে চলে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতদিন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিল, আমাকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিনিময়ে অনেক বাড়ি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়া আমার রুচিতে হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যখন দিল্লীতে ছিলাম জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির হিসেবে সফরে গিয়েছিল। বারবার আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছে। আমি দেখা করি নাই। ৮০ সালে যখন লন্ডনে, তখনও জিয়াউর রহমান লন্ডনে গিয়ে দেখা করতে চেয়েছিল। আমি বলেছি, খুনির চেহারা আমি দেখতে চাই না।’
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে ৩২ নম্বরের বাড়িটি হস্তান্তর করা হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওটাও ছিল এক চক্রান্ত। দেশে ফেরার পর প্রথম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে প্রবেশের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘আমি ওই বাড়িতে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারিনি। অর্ধেকটা উঠার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া হত্যার পর টেলিভিশনে ৪০ দিন ধরে প্রচার চলছিল সে নাকি স্যান্ডো গেঞ্জি আর ভাঙা সুটকেস রেখে গেছে। জিয়ার জন্য মায়াকান্না আর বঙ্গবন্ধুর নামে অপপ্রচার। শুধু হত্যা করেই ঘাতকরা ক্ষান্ত হয়নি মৃতের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কত বড় নিষ্ঠুরতা, আপনারা একবার চিন্তা করে দেখুন। ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ১০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিলেন। সেই টাকা ট্রাংক ভরে বাড়িতে এনে রাখা হয়। বলা হয় টাকা-পয়সা, সোনা-দানা, হিরে-জহরত সব নাকি এ বাড়িতে পাওয়া গেছে। একদিকে শোক, অন্যদিকে এই অপপ্রচার। কত মানসিক যন্ত্রণা ছিল।’
কথা বলতে গিয়ে বার বারই গলা ধরে আসছিল প্রধানমন্ত্রীর। এ সময় পুরো মিলনায়তনে ছিল পিনপতন নীরবতা। হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে দেখা গেছে অনেককেই।

অন্যান্য রাজনীতি শীর্ষ খবর