এশিয়ার সর্ববৃহত্ বীজ বর্ধন খামার পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার চর বাঁশবাড়িয়ায় দেশের প্রথম খড়-কুটা ভিত্তিক বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই প্লান্ট থেকে উত্পাদিত হবে পাঁচশ ঘন মিটার বায়োগ্যাস। এই গ্যাস দিয়ে আবার উত্পাদিত হবে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুত্। শুধু তাই নয়, এই বায়োগ্যাস প্লান্টে ব্যবহূত জৈব খড়-কুটায় উত্পাদিত হবে উন্নতমানের জৈব সার।
চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি লিমিটেড’ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, এখন শুধু উদ্বোধন।
প্রতিকূলতা সহিষ্ণু বীজ এবং উপকূলীয় এলাকার জন্য উপযোগী অন্যান্য শস্য বীজ উত্পাদন করে কৃষকের হাতে তুলে দেয়ার জন্য দশমিনা উপজেলার চর বাঁশবাড়িয়ায় দেশের সর্ববৃহত্ বীজ বর্ধন খামার গড়ে তোলা হয়। ১ হাজার ৪৪ একর জমিতে প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ খামার প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপচরের খামারের উত্পাদিত বীজ প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতকরণ, গুদাম, ভবন, ডরমেরিটি, লেবার সেট, যন্ত্রপাতি মেরামতের ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন কাজে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তায় এখানে বিদ্যুত্ উত্পাদনের জন্য বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনসহ বিদ্যুত্ উত্পাদনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি লিমিটেড, গাজীপুরকে। খামারের ভিতরেই এই প্রকল্পে পাঁচশ ঘন মিটার বায়োগ্যাস উত্পাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্লান্ট স্থাপনসহ বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বীজ বর্ধন খামারের প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর মিঞা বলেন, খড়-কুটা ভিত্তিক বায়োগ্যাসে বিদ্যুত্ উত্পাদন দেশে এই প্রথম। নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই চীন থেকে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের একটি দল আসবে এবং তারা এলেই এই প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে।