ঢাকা, ৬ আগস্ট ২০১৬ : দেশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের দমন এবং তাদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানিয়ে আজ এ ব্যাপারে বাসস’কে বলেন, ‘আমরা জঙ্গীদের মদদদাতাদের ও তাদের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করেছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী জঙ্গী ও সন্ত্রাসী এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কাজ করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাধারণ জনগণ এবং বিদেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য জঙ্গীবাদি কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘অন্যান্য অপরাধ দমনসহ দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের মূলোৎপাটনে সরকার বদ্ধপরিকর।’ গুলশান ও শোলাকিয়া হামলাকারিদের মদদ দাতাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ একটি বৈশ্বিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে ও উন্নত দেশগুলো সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং সরকার উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বন্ধু প্রতিম দেশগুলোর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে সকল ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গীরা পুনরায় সংগঠিত হতে চেষ্টা করছে, কিন্তু সরকার তাদের সেই কার্যক্রম দমনে সক্ষম হয়েছে। সন্ত্রাসীরা যাতে ভবিষ্যতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে আমরা বিশেষায়িত ‘কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ (সিটিটিসি) ইউনিট গঠন করেছি”।
তিনি বলেন, স্থানীয় জঙ্গীরা দেশে নাশকতামূলক কর্মকান্ড করেছে কিন্তু জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে তা বিস্তারলাভ করেনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের সরকার জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর সন্ত্রাস বিরোধী আইন বলবৎ করেছে এবং জাতীয় সংসদে ২০১৩ সালে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন (সংশোধন) পাস করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থানের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারকে দুর্বল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসি বানচাল করার লক্ষ্যে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠিগুলো জঙ্গীবাদকে মদদ দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকার একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। এর আওতায় কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও কূটনৈতিক এলাকায় নজরদারি ও টহল বৃদ্ধির ব্যবস্থায় তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ দমনের জন্য সারা বিশ্বে প্রশংসা পেয়েছেন এবং এটা নিশ্চিত করেছেন যে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য কাউকেই বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।