ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০১৬ : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের বনভূমি বৃদ্ধির পাশাপাশি পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে বৃক্ষরোপণ অভিযানকে সার্থক ও সফল করার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণে অংশ নিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বৃক্ষ, পরিবেশ ও প্রকৃতি জীবজগতের পরম বন্ধু। বৃক্ষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষ ও প্রাণী জগতের সকলের দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার অতি প্রয়োজনীয় উপাদান অক্সিজেন আসে বৃক্ষ থেকে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তাছাড়া খরা, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধে বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। গাছ ছাড়া পৃথিবীতে বসবাস করাই সম্ভব নয়। মানুষের জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বৃক্ষের অবদান অনস¦ীকার্য। এ পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে গৃহীত প্রতিপাদ্য ‘জীবিকার জন্য গাছ, জীবনের জন্য গাছ’ যথার্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি বাণীতে উল্লেখ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, সুজলা, সুফলা শস্য-শ্যামলা এই প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্য, জ্বালানি, বাসস্থান, আধুনিক জীবনের জন্য কাঠভিত্তিক আসবাবপত্রের চাহিদা পূরণ, নতুন নতুন কলকারখানা স্থাপন ও সময়ের চাহিদা পূরণে কাঠের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশের বনাঞ্চল হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে দেশের পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
রাষ্ট্রপতি ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৫’ এবং বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদান রাখার স¦ীকৃতিস্বরূপ যারা ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১৬’ প্রাপ্ত হয়েছেন তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এ অর্জন দেশের আপামর জনগণকে বৃক্ষ রোপণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উৎসাহিত করবে। নতুন ও আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ বাসযোগ্য পরিবেশ রেখে যেতে একযোগে কাজ করি-এটাই হোক এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬ এর অঙ্গীকার।’
তিনি জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬ এর সাফল্য কামনা করেন।