২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী

২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী

5027সংসদ ভবন, ২৬ জুলাই, ২০১৬ : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি আজ ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য টিপু সুলতানের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, বিতরণকৃত আইসিটি সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, স্পিকার , ইন্টারনেট সংযোগসহ মডেম। আইসিটি ফর এডুকেশন ইন সেকেন্ডারি এন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪ হাজার ১২২ জন শিক্ষককে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩১ হাজার ৩৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (২৬,০০০টি বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পন্ন ও ৫,৩৪০টি বিদ্যুৎবিহীন) মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম প্রতিষ্ঠা করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, স্পিকার, মডেম সরবরাহ করা হবে। একই সাথে মাল্টিমিডিয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্লাশ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে ৫ লাখ ২০ হাজার ৮২০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার সম্প্রসারিত করা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে সকল রকমের শিখন-শেখানো সামগ্রী ও পাঠ্যপুস্তক আপলোড করা হয়েছে। এ ওয়েবসাইটে (িি.িহপঃ ন.মড়া.নফ) মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি বাংলা ভার্সন, ৫০টি ইংরেজি ভার্সন এবং প্রাথমিক স্তরের ৩৩টি বাংলা ভার্সন ও ২৩টি ইংরেজি ভার্সন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩১টি পাঠ্যপুস্তকের পিডিএফ ভার্সন আপলোড করা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এ পর্যন্ত দেশের প্রাথমিক স্তরের ৩৩টি মাধ্যমিক স্তরের ৪৯টি, মাদ্রাসা শিক্ষার ৭৫টি এবং কারিগরি শিক্ষার ৩২ পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় ও সহজে ব্যবহার যোগ্য ‘ই-বুক’ এ কনভার্ট করে (িি.িবনড়ড়শ.মড়া.নফ) ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৮ জন শিক্ষককে কম্পিউটার, ইংরেজি, গণিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসইএসডিপি) এর মাধ্যমে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির উপর ২০০৯-২০১৩ সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষার ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষক, কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, টিচিং কোয়ালিটি ইম্প্রুভমেন্ট ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, মাদ্রাসা শিক্ষক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন মেয়াদে আরও ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দেশে সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়াদের উন্নততর শিক্ষা প্রদানের জন্য রাঙ্গামাটি এবং পটুয়াখালী জেলায় প্রাথমিকভাবে ২ হাজার ১৪২ জনকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ের ১৪ হাজার ৫৩৪ জন শিক্ষককে বিএড ডিগ্রী গ্রহণের জন্য অনুদান সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাস্তবতার নিরিখে শুধু টেকনিক্যাল স্কুলের স্থলে ‘১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ’ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্পের ডিপিপি সংশোধনপূর্বক এর প্রাক্কলিত ব্যয় ২২৮১.৬৯ কোটি টাকায় নির্ধারণ করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

অন্যান্য জেলা সংবাদ বাংলাদেশ