ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০১৬: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগামীকাল মস্কোতে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে চূড়ান্ত ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এলক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের নেতৃত্বে ৫-সদস্যের এক প্রতিনিধিদল এখন রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।
প্রকল্পটির পরিচালক শওকত আকবর আজ বাসসকে বলেন, রাশিয়া এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের মধ্যে ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দেবে। এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরো অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে আকবর বলেন, আগামী বছর থেকে এই ঋণের ব্যবহার শুরু হবে। এর সুদের হার হচ্ছে ১.৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশকে ১০ বছর রেয়াতসহ বছরে ২ কিস্তিতে ২০২৭ সাল থেকে ২৮ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
দেশের সর্ব প্রথম এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটির সব কারিগরী সহায়তা ও সরঞ্জামের জোগান দেবে রাশিয়া।
পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে নিউক্লিয়ার ক্লাবে যোগ দেবে। কারণ রূপপুর পারমাণবিক কোম্পানি লিমিটেড ২০১৭ জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রিঅ্যাক্টর স্থাপন শুরু করবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে একটি সাধারণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে উভয় দেশ ১৭ মে চুক্তিটি প্রত্যায়িত করে এবং বাংলাদেশ ২৭ জুন ও রাশিয়া ১৮ জুলাই চুক্তিটি অনুমোদন করে।
১৯৬২ সালে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলেও বিগত ৫০ বছরে এর কোন অগ্রগতি ছিল না। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে এ সম্পর্কিত একটি বিল পাস হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০১৪ সালের আগস্টে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কোম্পানি গঠনের আইন প্রণীত হয়।