জঙ্গিবাদ যে নামেই আসুক আমাদেরকে দমন করতেই হবে : শেখ হাসিনা

জঙ্গিবাদ যে নামেই আসুক আমাদেরকে দমন করতেই হবে : শেখ হাসিনা

pm.23ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০১৬ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন করে মানুষের মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনায় তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তাঁর সরকার কোনভাবেই বাংলার মাটিতে এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে বিস্তার লাভ করতে দেবে না।
তিনি বলেন, ‘এই জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ যে নামে, যে ভাবেই আসুক না কেন, তাদেরকে আমাদের দমন করতেই হবে এবং সেটা আমরা করব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ‘জনপ্রশাসন পদক ২০১৬’ বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় জঙ্গি দমনে তাঁর জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডই আমরা বাংলার মাটিতে হতে দেব না। মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব।’
তিনি বিষয়টি সবাইকে মাথায় রেখে কাজ করে যাবার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি অবশ্যই আমরা তা পারব। তা যে পারি, সেটা বিশ্বকে আমরা দেখিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী মাত্র ১০ ঘন্টার মধ্যে গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনার সমাপ্তি টেনে বিদেশী নাগরিকসহ অনেক জিম্মীকে জীবন্ত উদ্ধার করাকে তাঁর সরকারের সাফল্য বলে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই পদক বিতরণ করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ. এম. আশিকুর রহমান এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সরকারি কমকর্তাদের প্রভু হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন এবং সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত নিস্পত্তিতে আন্তরিক হবার আহবান জানান।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনেও প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকতাদের নিজ নিজ ক্ষেত্র- প্রতিষ্ঠানে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আমরা বাংলার মাটিতে হতে দেব না। মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব।
তিনি বলেন, এটা মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে- আমি বিশ্বাস করি, অবশ্যই আমরা তা পারব। তা যে পারি, সেটা বিশ্বকে আমরা দেখিয়েছি।
গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের হত্যা করে জিম্মি উদ্ধার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ বোধহয় পৃথিবীতে একমাত্র দেশ ..১০ ঘণ্টার মধ্যে সেই জঙ্গি দমন করে অনেক হোস্টেজ, তাদের জীবনকে রক্ষা করতে পেরেছি।’
এই ধরনের ঝামেলা মোকাবেলায় সরকারের ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী তৎপরতার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘মানুষ খুন করে (কেউ যদি মনে করে থাকে) বেহেশতে গিয়ে হুর পরি পাবে, তা কখনও হবে না। এটা মোটেই ইসলামের শিক্ষা না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে এবং মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন, তারা ধর্মের প্রকৃত যে শিক্ষা, সেই শিক্ষাটা যেন মানুষ পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।’
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির স্বার্থে চাকরি নয়, জনগণের জন্য কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের অনেক উন্নতি করে দেয়া হয়েছে। কাজে মনযোগ দিলে আগামীতে আরও উন্নতি হবে।
সেবার মনভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দিয়েছি। ১২৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছি। আমরা যে বাজেট বা কর্মসূচি হাতে নেই তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, এটিই চাই। এজন্য কর্মচারীদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। শুধু চাকরির স্বার্থে চাকরি নয়, জনগণের জন্য কাজ করা পবিত্র দায়িত্ব, সে হিসেবে কর্মসম্পাদন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশাসনের কর্মচারীদের সম্মানজনক পদবি ছিল না, কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পদের নাম পরিবর্তন করে সম্মানজনক পদবি আমরা দিয়েছি। আমরা প্রায় সর্বক্ষেত্রে এটি করেছি, সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই।
সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নানামাত্রিক প্রশিক্ষণে জোর দিয়েছি। বিশ্ব প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আজকের বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক। প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদেরও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এতে প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যেসব পদোন্নতি বন্ধ ছিল, সেগুলোতে ব্যাপকহারে পদোন্নতি দিয়েছি। আমরা এ পর্যন্ত ১১৯ জন সচিব, ৬৯৪ জন অতিরিক্ত সচিব,১ হাজার ৪৮৫ জন যুগ্ম সচিব, ১ হাজার ৪৯৯ জন উপ-সচিবকে ইতোমধ্যে পদোন্নতি দিয়েছি। এ পদোন্নতি শুধু এখানে নয়, প্রশাসনের সব ক্ষেত্রেই দিয়েছি। দেশের ইতিহাসে এত পদোন্নতি কখনো হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা সকলের বেতন ৬১ ভাগ বৃদ্ধি করি। ২০১৫ সালে আবার বেতন ১২৩ ভাগে উন্নীত করা হয়েছে। প্রায় ১৮৪ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে, আপনারা যাতে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারেন। পাশাপাশি সরকারি কাজে যেন আরো গতিশীলতা আসে।’
যুগে-যুগে বাঙালিদের সবচেয়ে বেশি অবহেলা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি পাকিস্তান শাসনামলে সামরিক ও বেসামরিক ক্ষেত্রে বাঙালিদের পদবঞ্চিত থাকার করুন ইতিহাস সবিস্তারে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন দেশ এনে দেয়ার মাধ্যমে সেই বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি আমাদের সংবিধান দিয়েছেন মাত্র নয় মাসের মধ্যে। সেই সংবিধানে আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি থেকে প্রশাসনিক সবকিছু উল্লেখ করা ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর এই দেশটা ছিল যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলে শেষ বছরে সাত শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হন। তিনি দেশের রাস্তা ঘাট, ব্রিজ মেরামত করে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি আদায়ে কাজও তিনি করেছেন।
পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তৃণমূল পর্যায় থেকে জনসেবা করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তবে পঁচাত্তরে হত্যা, ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া শুরুর ফলে আমরা পিছিয়ে যেতে থাকি। ’৯৬ সালে যখন এসেছিলাম (আওয়ামী লীগ প্রথমবার ক্ষমতায়) তখন কিছুই ছিল না। তার পর থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি আমরা।
তিনি বলেন, আজ আমরা যেখানে কাজ করতে যাই সেখানেই দেখতে পাই এর ভিত্তি করে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা অর্থনৈতিকভাব যথেষ্ট শক্তিশালী। আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার ৯০ ভাগ এখন নিজস্ব অর্থায়ন থেকে বাস্তবায়ন করতে পারি। বাজেট বৃদ্ধি হচ্ছে, রিজার্ভ সন্তোষজনক, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসনে কর্মরত সকলের সহযোগিতায় আমরা এসব কাজ সফলভাবে করতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন-‘সব সময় আপনাদেরকে এটাই মনে রাখতে হবে যে জনগণের সেবা করতে হবে। জনগণের সেবা করাটাই প্রকৃত দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসেছি। এই সময়ের মধ্যে কর্মসম্পাদন করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছি সেগুলোর বাস্তবায়ন যেন দ্রুত হয় সেটাই আমরা চাই।’
তিনি বলেন, আমরা চাই সরকারের নেয়া প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। কারণ আমরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসি। এজন্য হাতে নেয়া কাজগুলো যাতে হয়, সেজন্য তাগাদা থাকে। না হয় অন্য সরকার এসে এগুলো বন্ধ করে দেয়।
তিনি ৯৬ সালে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়ারও নিন্দা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা তুলে ধরে স্বাধীন বাংলাদেশে ‘দক্ষ সিভিল সার্ভিস’ গড়ে তুলতে জাতির জনকের নেওয়া পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন।
আমাদের দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মেধা বিশ্বের কোনো দেশের চেয়ে কম নয় বলে
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে উৎসাহ আনতে ইতিহাসে প্রথম বারের মতো জনপ্রশাসন পদক দেয়া হলো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেন, তাঁর সরকার বিভিন্নমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, এই পদক সেসব কর্মসূচির কর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়বে। যারা পুরস্কৃত হলেন, তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পদক দেয়া হল।
‘জাতীয় ও মাঠ পর্যায়ে যথাক্রমে ১৩ ও ১৭ জনকে পুরস্কার দেয়া হলো। আগামীতে আরও দেয়া হবে,’ বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, লাখো শহীদ এ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশটাকে একটা মর্যাদাপূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা (রাজনীতিবিদ) যেমন মানুষের সেবক, তেমন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরও মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে।
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই উন্নয়ন কাজে প্রশাসনের প্রত্যেকের কাছে সহযোগিতা পেয়েছি। আপনারা প্রত্যেকে আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলেই সরকার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।
তিনি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আপনারা স্ব স্ব পদে যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন বলেই দেশের এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের সময়ের নেতিবাচক স্মৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে রাষ্ট্রপতি হলে, নিজের ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির কাজ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করাই তাদের লক্ষ্য থাকে। এমন ভাগ্য বাংলাদেশকে বরণ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আগের সরকারের আমলে নানা জঙ্গি তৎপরতা বাংলাদেশে হয়েছে। এমপি হত্যা, সারাদেশে ৫শ’ স্থানে একযোগে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে আইভি রহমান’সহ বহু নেতা-কর্মী নিহত এবং আজীবনের পঙ্গুত্ববরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন দলীয়করণ, দুর্নীতি-দুঃশাসন ছিল। কখন কার চাকরি যায়, কি হয় একটা আতংক ছিল সবার মাঝে।
তিনি বলেন, আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন ঘোষণা দিয়েছিলাম জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করব। ঠিক তেমনভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরও কাজ হচ্ছে জনগণের সেবা করা, জনগণের কল্যাণ করা। কাজেই সেই সেবার মনোভাব নিয়ে সবাইকে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ নাগাদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলায় তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আরেকজনের ভালো আমরা সহ্য করতে পারি না। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এই পুরস্কার দেওয়া হলো একটি ভালো উদ্যোগ। যা কাজে উন্নতি বাড়াবে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা পদক নিলেন এটি তাদের মেধা, সৃষ্টিশীলতার মূল্যায়ন বলে মনে করি। তবে আমরা অনেকেই মনে করি- বিসিএস পাস করে সরকারি কর্মীরা মেধাহীন, তারা কিছু পারেন না । এই ভ্রান্ত ধারণা আমাদের সৃষ্টি হয়ে গেছে। তবে বিশ্বের কোনো দেশের চেয়ে আমাদের কর্মীদের মেধা কম নয়। সৈয়দ আশরাফ এমন একটি আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহের কথা উল্লেখ করে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অন্যান্য বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর