দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনার সময় বাড়ানোর পক্ষে নয় তারা।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি গলফ ক্লাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে
ডিএসই সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, “ন্যূনতম শেয়ার ধারণের জন্য আগামী ২২ মে পর্যন্ত উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনার যে সময়সীম বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা থেকে সরে আসার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। এ জন্য সময়ও বাড়ানো হবে না।”
“শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়া পরিচালকদের কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে থাকতে হলে আবার শেয়ার কিনতে হবে”, যোগ করেন তিনি।
রকিবুর বলেন, এই ‘প্রণোদনার’ সঠিক ও সফল বাস্তবায়ন করতে হবে বলে ডিএসই জোরালোভাবে মনে করে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা যে সব পরিচালকের ওপর আস্থা রেখে শেয়ার কিনেছিলেন তারাই বাজার ভালো দেখে নিজের এবং পরিবারের শেয়ার বিক্রি করে দেন। এভাবে তারা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বর একটি আদেশ জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
ওই আদেশে বলা হয়, একটি কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ওই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে থাকতে হবে। আর ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে পরিচালকের হাতে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে।
কারো হাতে থাকা শেয়ারের পরিমাণ ওই সীমার চেয়ে কম হয়ে থাকলে আগামী ২২ মের মধ্যে শেয়ার কিনে তা পূরণ করতে হবে।
রকিবুর বলেন, প্রতিষ্ঠানের বাইরে কোনো বিনিয়োগকারী পাঁচ শতাংশ শেয়ারের মালিক হলে এবং ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো পদ খালি থাকলে তিনি ইচ্ছা করলে শূন্য পদটি নিতে পারবেন।
“যদি কেউ এসইসির অনুমতি ছাড়া শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলে নেয়, তাহলে বুঝতে হবে তারা আইনের আওতায় নেই। এ জন্য এসইসির কাছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব করা হবে।”
বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “এক অস্থিতিশীল অবস্থা বাজার অতিক্রম করছে। এই বাজার ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে।”
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি আল মারুফ খান ছাড়াও ডিএসইর জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী, পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান ও সিএসইর সহ সভাপতি মীর্জা সালমান ইস্পাহানী, পরিচালক বিজন চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।