ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬ : রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মস্থলের নিরাপত্তা ওপর গুরুত্ব আরোপ করে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার জন্য শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে শ্রমিক, মালিক ও সরকারসহ সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নিরাপদ স্থানে সুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা শ্রমিকের আইনগত অধিকার এবং দেশের উন্নয়ন এর সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে জড়িত। শ্রমিকরা যদি সুরক্ষিত থাকতে পারে, তাহলে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিও হবে।
ন্যাশনাল প্রফেশনাল হেলথ এন্ড সেফটি ডে পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেনÑ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ’র এ এইস আসলাম সানি, এবং আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রিনিভাস বি রেড্ডি।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মস্থলে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শ্রমিকরা জড়িত। শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয় কোন ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি বিনিয়োগ।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, শ্রমিকরা বেঁচে থাকলে, শিল্প টিকে থাকবে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরতে থাকবে। তিনি বলেন, দেশের শিল্প উন্নয়নের জন্য কর্মস্থলে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার কোন বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি দেশে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নত করার জন্য সরকার গৃহীত উদ্যোগের উল্লেখ করে বলেন, সরকার কারখানা ভবনের কাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, সরকার গৃহীত কারখানা ভবনের নিরাপত্তা, ফায়ার ও পাওয়ার সিস্টেম ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে। অন্যান্য খাতেও সরকার পযার্য়ক্রমে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, সরকার শ্রমিকদের জন্য কাজের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল প্রফেশনাল হেলথ এন্ড সেফইটি নীতি ২০১৩ প্রণয়ন করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রমিক শ্রেণীর লোকদের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তার সারাটি জীবন সোচ্চার ছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সর্বদা রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন।