ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০১৬ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুক্তিযুদ্ধের অনির্বাণ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় আজীবন অবদান রেখেছেন।
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আহবান জানান।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে ৪র্থ বারের মতো এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায় জনগণের ন্যায়বিচারে সহজ অভিগম্যতা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির তত্ত্বাবধানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ দরিদ্র বিচার প্রার্থীদের আইনগত পরামর্শ প্রদানসহ মিমাংসার মাধ্যমে বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি করছে। পাশাপাশি অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত বিপুলসংখ্যক মানুষ সরকারি খরচে আইনি সেবা নিচ্ছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি সমাজের সহায়-সম্বলহীন মানুষের ন্যায়বিচারে সহজ অভিগম্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের আইনি সেবা প্রদানে অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারক, আইনজীবীসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, একটি আধুনিক জনকল্যাণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্য আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার নিশ্চিত করা। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’। এ অবস্থায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সকল নাগরিকের আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ সৃষ্টি করা।
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যেই সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ পাস করে। দুস্থ ও অসহায় মানুষকে আইনি সহায়তাসহ আইনগত সেবা প্রদানে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।