এলডিসির নেতৃত্বে বাংলাদেশকেই চান প্যাসকাল ল্যামি

এলডিসির নেতৃত্বে বাংলাদেশকেই চান প্যাসকাল ল্যামি

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) বাণিজ্য সংক্রান্ত ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা জানিয়ে এ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রধান প্যাসকেল ল্যামি।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম সমাবর্তনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনে সহায়তা দিয়ে যাবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ বছরের ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় এ সমাবর্তনে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ডব্লিউটিএর পঞ্চম মহাসচিব ও ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ল্যামির হাতে সনদ তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অথনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশ যে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে- এ দেশের প্রাণবন্ত বেসরকারি খাত, সক্রিয় নাগরিক সমাজ ও সামজিক পরিবর্তনের গতিধারা তারই প্রমাণ।”

“আপনাদের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ডব্লিউটিও অংশীদার”, বলেন তিনি।

বক্তৃতায় ডব্লিউটিওকে একটি বহুপাক্ষিক সংগঠন উল্লেখ করেন প্যাসকেল ল্যামি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে সব সদস্য সমান গুরুত্ব নিয়ে একত্রিত হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

“এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে এবং সম্মাননা পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে আমার”, বলেন ল্যামি।

এর আগে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ডব্লিউটিওর সঙ্গে ল্যামির সংশ্লিষ্টতার ফলে বিশ্বে বাণিজ্যে বাধা হ্রাস পেয়ে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সারাবিশ্বে জীবনযাত্রার মান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুই হলো বাণিজ্য।

দোহা বিশ্ব বাণিজ্য আলোচনায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন- তার অগ্রগতি স্থবির হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ডব্লিউটিও প্রধানের ঢাকা সফরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা।

শিল্প কারখান মালিকরা আশা করছেন, অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপ্ক্টেস অব ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (ট্রিপস) চুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ানোর ব্যাপারে ল্যামিকে অনুরোধ জানানো সম্ভব হবে এই সফরে। ২০১৬ সালে এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।

এ চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলে বিশ্ববাজারে আরো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে বাংলাদেশের উদীয়মান ওষুধ শিল্প।

দুই দিনের এ সফরে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বেশ কিছু ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ল্যামি।

অন্যান্য