‘ওরা আগামীর নেতৃত্ব, ওরা জয় করবেন সারা বিশ্ব।’ নেচে-গেয়ে আর উল্লাস প্রকাশ করে যেন এমন কথাই জানান দিচ্ছিলেন নগরবাসীকে। সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকালে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সেই উল্লাস ফুটে উঠেছিল আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের রাজপথে।
রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে আগামীর হাজারো স্বাপ্নিক মানুষগুলোকে অভিবাদন জানিয়েছেন নগরবাসীও। আনন্দের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস আর মিলনমেলার এই র্যালির নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী, লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রাগীব আলী।
সকাল সাড়ে ১০টায় লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে র্যালি শুরু হলেও অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হন তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে। দলবদ্ধ শিক্ষার্থীদের সারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে বন্দর পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা।
জিন্দাবাজারে এসে শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যালির যাত্রা শুরু হয়। ব্যান্ডের তালে তালে এ সময় র্যালি চলতে থাকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে। সারিবদ্ধ এবং শৃঙ্খলা বেষ্টিত এ র্যালি জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, তালতলা হয়ে শেষ হয় ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে।
বিশাল ফেস্টুন, হাতে হাতে ভুভুজোলা, বাঁশি, প্ল্যাকার্ড, অজগরের বিশাল আকৃতির মুখোশ, ঘোড়ার গাড়ি, হাতিসহ লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ কারুকার্যময় পরিবেশনা মুগ্ধ করেছিল নগরবাসীকে।
এছাড়াও স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি দৃষ্টিনন্দন আইফেল টাওয়ার, সিলেটের ঐতিহ্য ঝুলন্ত ক্বীন ব্রিজ, আধুনিক যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোনের টাওয়ার, আলোক পথের অভিযাত্রীদের প্রতীক বিশাল আকৃতির মোমবাতিসহ নানা উপকরণে বর্ণাঢ্য হয়ে উঠেছিল দেড় কিলোমিটার ব্যাপী এ র্যালি।
বিশ্ববিদ্যলয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রাক্তন শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং ৭ জন চাকমা নৃতাত্তি¡¡ক ছাড়াও র্যালিতে অংশ নেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর মো. কিসমাতুল আহসান, সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এ বি এম শহিদুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ভিসি ড. মো. কবির হোসেন, রেজিস্টার মো. আব্দুর রশীদ, বিবিএ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিউল্লাহ, প্রফেসর নুরুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান জহির বিন আলম, বিবিএ বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. বশির আহমদ ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ পরিচালক মো. কবির আহমদ, ডেপুটি রেজিস্টার মো. লুৎফর রহমান, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা লে. কর্ণেল (অব.) রুহুল আমীন, সচিব মো. শায়খুল হক চৌধুরী প্রমুখ।