যৌতুক এবং বিয়ের আসরে বরকে কনের তালাক দেওয়ার ঘটনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উত্তর চাকামইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত আলী খান হিরন ও তার শিক্ষিকা ফুফু তাহমিনা বেগমকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার এ সংক্রান্ত আদেশ তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানিয়েছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৫ নভেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদেরের সই করা বরখাস্তের আদেশ কপি বৃহস্পতিবার কলাপাড়ায় এসে পৌঁছে। শুক্রবার বিকেলে বরখাস্ত সংক্রান্ত আদেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার ৫৪২ নং স্মারকে জানান, বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে বর শওকত আলী খান হিরনের ফুফু নীলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা খানমের মাধ্যমে টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল দাবি করেন। এতে বর হিরন সমর্থন দেন। যা সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ১৯৮৫ এর ২’র এফ বিধির পরিপন্থী।
এহেন কার্যকলাপের জন্য আপনাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর সকাল ১১ টা ১১ মিনিট ১১ সেকেন্ডে কলাপাড়ার মাদ্রাসারোড এলাকার ডা.শাহ আলম খানের ছেলে শওকত আলী খান হিরনের সাথে আমতলী উপজেলার কালিপুরা গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিন নিপার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
একই দিন কনের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে একটি নেইল পলিশ রিমুভারকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় যৌতুকের প্রসংগ তুলে বিয়ের আসরেই কনে ফারজানা ইয়াসমিন নিপা বর হিরনকে তালাক দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
তবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক শওকত হোসেন হিরন এ ধরনের কোন চিঠি তিনি হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন।