বিএনপি শাসনামলের ‘অপকর্মের’ জন্য খালেদা জিয়াকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল বলেন, “আপনাদের আমলে যেসব অপকর্ম হয়েছে তার তদন্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে এসে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রত্যেকের বিচার হবে। খালেদা জিয়াকেও এ বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”
কোন উপায়ে বিচার থামিয়ে রাখা যাবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠন বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে।
আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশের নতুন প্রজন্মসহ শতকরা ৮৮ ভাগ মানুষ যুদ্ধাপরাধেল বিচার কার্যকর হোক তা চায়। গোলাম আযমসহ আটক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এ সরকারের আমলেই সম্পন্ন হবে।”
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অর্থ পাচার মামলার বিচারও এ আমলেই হবে বলেও জানান তিনি।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর গুলশান থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলা দায়ের করে। গত বছরের ৮ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের পর তারেককে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলছে। এ ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামিও তারেক।
বিরোধীদলের সংসদ বর্জনের বিষয়ে কামরুল বলেন, “আমরা আগে থেকেই জানতাম তারা শুধু বেতন ভাতা আর সংসদ সদস্যপদ রক্ষা করতে সংসদে আসবেন, কিন্তু থাকবেন না।”
৭৭ কার্যদিবস পর ৩৪ কার্যদিবসের এই অধিবেশনের মাঝামাঝিতে সংসদে ফিরেছিল বিরোধী দল।
বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও বিরোধী দলের প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক কর্মসূচিতে বলেন, আইএসআইয়ের কাছ থেকে অর্থ ‘নেওয়া’ সংক্রান্ত সংসদে দেওয়া সব বক্তব্য স্পিকার কার্যবিবরণী থেকে বাদ না দিলে তারা সংসদে যাবেন না।
অনুষ্ঠানে কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ করিম, আওয়ামীলীগ ঢাকা মহানগর শাখার উপদেষ্টা জি এম আতিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।