বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত কুয়েত ও কোরিয়া। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আন সিয়ং ডু প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে কোরিয়া সব সময় প্রস্তুত। মহেশখালীকে ডিজিটাল দ্বীপে পরিণত করতে কোরিয়া কাজ করছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান সিয়ং ডু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন মডেল হতে পারবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা।
তিনি তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে সরকারের সফলতা তুলে ধরে বলেন, গ্রামের মানুষও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ সফটওয়ার ও হার্ডওয়ারসহ আইসিটি সর্ম্পকিত রফতানিতে জোর দিচ্ছে। তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাত হতে পারে পরবর্তী রফতানি লক্ষ্য।
কোরিয়ার কর্মরত ১৪ হাজার বাংলাদেশির প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত জানান তাদের স্বাস্থ্য ও আবাসন নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানান সিয়ং ডু।
সিয়ং ডুর পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ.এইচ হায়াত । তিনিও বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে আমি অভিভূত। বাংলাদেশকে তার ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে উল্লেখ করেন এই রাষ্ট্রদূত।
উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে আদেল মোহাম্মদ বলেন, কুয়েতের কঠিন সময়ে বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে।
কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসর্ম্পকের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, কুয়েত আমাদের হৃদয়ে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে কুয়েতের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে কুয়েতের আমির ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।