আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংকটের কথা স্বীকার করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুর হামিদ বলেছেন, আবাসিক খাতে গ্যাস সংকট সমাধানে গ্যাস লাইনে কাজ চলছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই এ সংকট কেটে যাবে।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোকাররম হোসেন খন্দকার ভবন মিলনায়তনে জাতীয় সেমিনার ও নবায়ণযোগ্য শক্তি প্রযুক্তির সরঞ্জামাদির এক প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ সৌরশক্তি সমিতির যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, যারা গ্যাস ব্যবহার করছেন আর যারা করছেন না তারা যেন ধীরে ধীরে এলপিজি’র আওতায় চলে যান। তাহলে ধীরে ধীরে এ সংকট কেটে যাবে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশের ৭০ ভাগ আবাসিক এলাকা এলপিজির আওতায় নিয়ে আসা হবে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, কিভাবে স্বল্প মূল্যে এলপিজি সবার আওতায় নিয়ে আসা যায় সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের টার্গেট পরিকল্পিত শিল্প এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা। আমাদের উচিত আবাসিক খাত থেকে শিল্প খাতকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া। আশা করি আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যেই শিল্পখাতের গ্যাস সংকট কেটে যাবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, সাসটেইনেবল রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, প্র্যাক্টিকেল অ্যাকশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, সোলার এনার্জি সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহতাশাম হোসেন প্রমুখ।