সংসদ অধিবেশনে অনুপস্থিত দেখে বিরোধী দলের সমালোচনা করেছেন স্পিকার আবদুল হামিদ।
নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করে তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের যে কোনো বক্তব্য সংসদে এসে দেওয়া উচিত ছিল।
বৃহস্পতিবার সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী দিনে অনুপস্থিত ছিল বিএনপিসহ বিরোধী দল।
বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদ বয়কটের ঘোষণা না দিলেও বিরোধী দলের প্রধান হুইপ বৃহস্পতিবার সকালেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক কর্মসূচিতে বলেন, আইএসআইয়ের কাছ থেকে অর্থ ‘নেওয়া’ সংক্রান্ত সংসদে দেওয়া সব বক্তব্য স্পিকার কার্যবিবরণী থেকে বাদ না দিলে তারা সংসদে যাবেন না।
জয়নুল আবদিন ফারুক গত দুদিনে একাধিক কর্মসূচিতে একই কথা বলেন, যিনি স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে আগে থেকে প্রশ্ন তুলে আসছেন।
টানা ৭৭ দিন বর্জনের পর সংসদে ফেরা বিএনপিকে বৃহস্পতিবার অধিবেশনে না দেখে স্পিকার বলেন, “আপনারা আমাকে স্পিকার বানিয়ে দিয়েছেন। এখন আমি আমার দুঃখের কথা বলতে পারি না।”
অষ্টম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা থাকাকালীন সময়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার দিকে ইঙ্গিত করে তার এই বক্তব্য।
কয়েকদিন আগে অধিবেশনে হট্টগোলের বিষয়টি তুলে ধরে স্পিকার বলেন, “রেহানা আক্তার রানু যে কথা বলেছেন! তাতে আমি তার কথা বন্ধ করলে তারা বের হয়ে যেত। তখন সকলে বলত, স্পিকার একটু ধৈর্য দেখালেও পারতেন।”
“আমি তো দেখেছি, পেছনের দিকে বসা এক সদস্যের দিকে এক জন চড়, আরেক জন ঘুষি মারতে গেছেন। আমি তো অ্যাকশন নিতে পারতাম। অ্যাকশন নিলে তারা চলে যেত,” বলেন তিনি।
বিরোধীদলীয় নেতা তার বক্তব্য শেষ করে সংসদে নেতার বক্তব্যের শুরুতেই চলে যাওয়ার সমালোচনা করে আবদুল হামিদ বলেন, “এটা তো ঠিক নয়।”
বিরোধী দলের রাজপথের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়টি সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে না তোলার দিকে ইঙ্গিত করে স্পিকার বলেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) কোনটা মানেন? ওনার বলা উচিত ছিল- তত্ত্বাবধায়ক তারা কোনভাবে চান, কোন রূপরেখায় চান?”
“আমি বললে, আমাকে বলবে- আমি সাইডেড। আমি সাইডেড নই। আমি নিরপেক্ষ,” নিজের নিরপেক্ষতার পক্ষে বলেন দেশের প্রায় প্রতিটি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী আবদুল হামিদ।
তিনি আরো বলেন, “আমি নিজের বিবেকের কাছে মুক্ত। আমি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে মজবুত গণতন্ত্র আছে, সেখানকার চেয়েও আমি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি।”
“আমার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে শুধু বলব, আমি দুঃখিত,” বলেন স্পিকার।