আমাদের যেতে হবে অনেক দূর: আসাদুজ্জামান নূর

আমাদের যেতে হবে অনেক দূর: আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর একজন অভিনেতা, আবৃত্তিকার, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও রাজনীতিবিদ। তিনি দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করছেন। ২৬ মার্চ চ্যানেলটির চতুর্থ জন্মদিন ছিলো। চ্যানেলটি সারা দেশে তাদের এই ৩ বছর পুর্তি এবং ৪ বছরে পর্দাপন উপলক্ষে উৎসব পালন করেছে। এ উপলক্ষে দেশ টিভির অর্জন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি গ্লিটজের সঙ্গে কথা বলেছেন আসাদুজ্জামান নূর। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন রাশেদ শাওন।

এই তিন বছরে দেশ টিভি কতোটা এগিয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
টেলিভিশন বিষয়ে আমার সবসময়ই একটা আবেগ ছিলো। কাজটি আমি শুরু করেছিলাম খুব উৎসাহের সঙ্গে। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখলাম এখানে প্রতিবন্ধকতা অনেক। আমি যেটাকে সুরুচি বলছি, সেটা অনেকের কাছে অনেক ভারি কিছু মনে হচ্ছে। আবার আমি যেটাকে বিনোদন বলছি, অন্যের কাছে সেটা বিনোদন নাও হতে পারে। দর্শকদের ক্ষেত্রেও একজনের সঙ্গে আরেকজনের মিল হয় না। আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আছেন। তারপর শিক্ষিত আছেন, অর্ধ শিক্ষিত আছেন, নিরক্ষর লোকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। সব ধরনের দর্শকের জন্য আসলে চ্যানেল করা যায় না। সবাইকে যে খুশি করতে পারবো এটা আমার মনে হয় না। আমরা চেষ্টা করেছি, আমরা নিজেরা যে সংস্কৃতিকে নিজেদের বলে দাবী করি- বাঙালী সংস্কৃতি যেটা হাজার বছর ধরে এই ভূখণ্ডের ঐতিহ্য; যে ঐতিহ্যের ধারায় আমরা একুশে ফেব্রæয়ারি, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, বর্ষা বরণ, নবান্ন উদযাপন করি; সেই ধারাটাকেই আমরা মূল ধারা বলে বিশ্বাস করে উপস্থাপন করতে চেয়েছি।

এই মূল ধারাকে মাথায় রেখেই আমাদের সকল চিন্তাভাবনাকে চালিয়ে নিচ্ছি। আর যে শাখা প্রশাখাগুলো আছে সেগুলোকেও আমরা বর্জন করিনি। আমরা মনে করি, সংস্কৃতি একটা বিশাল বটবৃক্ষের মতো। তার অনেক শাখাপ্রশাখা থাকবে। তাতে অনেক পাখি এসে আশ্রয় নেয়। সেই সব পাখির গান তো আর একরকম হয় না। একেক পাখির গলায় একেক রকম গান। সেই সব বিষয় খেয়াল রেখে আমরা বৈচিত্রময় অনুষ্ঠানমালা উপস্থাপন করেছি। সেখানে থেকে কিছু কিছু অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হয়েছে। আবার কিছু হয়েছে গতানুগতিক। কিছু হয়তো ভালো হয়নি। তবে আমি মনে করি আমাদের পথ চলতে হবে অনেক দূর।

বিনোদন