ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সচিবদের ১০ম গ্রেড স্কেলের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারি সমিতি (বাপসা)। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বেতন-বোনাসসহ সকল ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া ও চাকরি শেষে পেনশনের ব্যবস্থার দাবিও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এইচএসসি বা ডিল্পোমাধারীরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১০ম ও ১১তম গ্রেড স্কেলে অফিসার মর্যাদা পেলেও ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা স্নাতকধারী ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর হওয়া সত্বেও ১৪তম গ্রেড স্কেলের অফিসার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
স্থানীয় সরকার কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। সারা দেশে ৪৫৮১টি ইউনিয়ন পরিষদে ৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে মাত্র ৭৫ শতাংশ বেতন প্রদান করা হয়। বেতনের বাকি ২৫ শতাংশ পরিষদের আয়ের ১ শতাংশ থেকে পূরণ করা হয়।
চলতি মাসের মধ্যে তাদের এসব দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও উচ্চারণ করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান, উপদেষ্টা রেজাউল করিম তুহিন, শেখ হাবিবুর রহমান, নির্বাহী সভাপতি আতিকুর রহমান, আব্দুল লতিফ মোল্লা প্রমুখ।