‘বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। কেবল মাত্র অবকাঠামো উন্নয়ন হলেই সত্যিকারের উদ্দীয়মান দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে’ বলে মনে করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এইচ ই ডান ডাবলু মজিনা।
শনিবার দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১১-এর সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মার্কিন রাষ্টদূত এ কথা বলেন।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ, আমেরিকান চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আফতাব-উল ইসলাম, সেফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মোঃ রুহুল আমিন প্রমুখ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এ দেশের বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে আমি মিশেছি- তাদের অভিজ্ঞতা অর্জন করে গবেষণা করেছি এবং পরিশেষে আমার মনে হয়েছে অপার সম্ভাবনার কথা।
তিনি বলেন, এরআগে অন্যান্য দেশে মার্কিন দূতাবাসের হয়ে কাজ করেছি। কিন্তু কোন দেশকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখিনি; অথচ বাংলাদেশকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখি।
পোশাক শিল্পের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তৈরী পোশাক শিল্পে বিশ্বের পছন্দের জায়গা হচ্ছে বাংলদেশ।
গার্মেন্টস, পাট, লেদার এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ক্ষেত্রে বিশ্বের বাজারে শক্ত অবস্থান করে নেবে এবং বাংলাদেশ দ্বিতীয় চীনে পরিনত হতে সময় লাগবে না বলে তিনি মনে করেন।
তবে এক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
মজিনা বলেন, এদেশে অনেকে বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেকে এখানে বিনিয়োগ করেন না। তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরির্বতনের আহবান জানান।
এ কে আজাদ বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি চলছে- প্রয়োজনে টেবিল টকিং-এর মাধ্যমে তা সমাধান করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ভাল বন্ধু। আমি চাই বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের দূরত্বটা ঘুচে যাওয়া। বিশ্বব্যাংক আমাদেরকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়- যা আমাদের দেশের অবকাঠামো, শিল্প উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখে।
আজাদ বলেন, হরতাল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষতি করে। সকল ব্যবসায়ীকে হরতালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।