রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম নিবিড় ও সম্প্রসারণ করতে হবে। গবেষণার ফলাফল দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পাদপিঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম জাতি গভীর আগ্রহ সহকারে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। তাই এখানে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা সার্বজনীন। তবে মত প্রকাশ প্রক্রিয়া যাতে কোনো ভাবেই সহিংস আকার ধারণ না করে, তা নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও পরমত সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ছাত্র সমাজ জাতির চালিকাশক্তি, জাতির আশা আকাঙ্খা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার অবলম্বন। স্বাধীনতার ইতিহাসে ছাত্র সমাজের রয়েছে গৌরবময় অবদান। তারা ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান, ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে বিপুল অবদান রেখেছেন। তাদের আন্দোলন ও আত্মত্যাগের পথ বেয়েই অর্জিত হয়েছে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এর মধ্য দিয়ে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাদৃপ্ত মানুষের সম্মিলন ঘটে এবং আগামী দিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সুদৃঢ় অঙ্গীকারে অনুপ্রাণিত করে। নবীন গ্র্যাজুয়েটরা এ সত্য হৃদয়ে ধারণ করে এ সমাবর্তন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয় জীবনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যথাযথ অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সমাবর্তনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাসচিব প্যাস্টেল ল্যামিকে ডক্টর অব লজ সম্মাননা ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য ড. হারুন অর রশীদ এবং সকল অনুষদের ডিন উপস্থিত রয়েছেন।