বৃহস্পতিবার ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার খালা বাদি হয়ে শুক্রবার ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে দফায় দফায় অভিযান চালিয়েও ধর্ষক বাবাকে গ্রেফতার করতে পারেনি ধামরাই থানা পুলিশ।
পঞ্চম শ্রেণীর ওই স্কুলছাত্রী পুলিশের কাছে তার বাবার বিরুদ্ধে পাশবিকতার বর্ণনা দেয়। শিশুটি বলে, বাবার অত্যাচারে তার মা পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে চলে যায়। ওই ‘প্রতিশোধ’ নিতেই তার বাবা এমন অমানবিক কাজ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী পরকীয়া প্রেমের টানে কিছুদিন আগে ঘর ছেড়ে পালায়।
কোথাও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে জহুরুল তার পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে ঘর সংসারে মনোনিবেশ করে।
মাঝে মধ্যে জহুরুল গভীর রাতে তার ঘুমন্ত মেয়ের সঙ্গে যৌনক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করে। মেয়ে ঘুম থেকে চেতন হলে বাবা ঘুমের ভান করে থাকে, যেন মেয়ে ভাবে স্বপ্নে হয়তো এসব দেখেছে। তবে মাঝে-মধ্যেই নিজেকে বিবস্ত্র দেখতে পেয়ে ওই শিশু লজ্জিত হয়।
বৃহস্পতিবার ওই শিশু বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত ঘুমের ভান ধরে থাকে। অবশ্য এক পর্যায়ে সে ঘুমিয়ে যায়। এ সুযোগে মানুষরূপী ওই নরপশু বাবা তার শিশু মেয়েটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এরপর শিশুটির পরনের সমস্ত জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তার বাবা হীন মনবাসনা চরিতার্থ করে। এসময় প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব হলে শিশুটি জেগে উঠে। কান্না করার ভয়ে ওই নরপশু বাবা শিশু কন্যাটির মুখ চেপে ধরে।
এরপর বাবার হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে শিশুটি কোনো মতে রাত কাটিয়ে দেয়। পরে শুক্রবার ওই শিশু তার খালার সঙ্গে থানায় এসে বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ অভিযোগ পেয়েই ওই নরপশুকে গ্রেফতারে দফায় দফায় অভিযান চালায়।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন রায় ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জুয়েল হোসেন জানান, ধর্ষিতা ওই শিশুর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই ধর্ষককে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালনো হয়। তবে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ধামরাই থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবু সাইয়িদ বলেন, ওই শিশু তার খালার সঙ্গে থানায় এসে তার বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এবং ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।