চীনা ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় সূচিত হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি বলেছেন, সরকার এভাবে আরো অনেক দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী।
শনিবার রাজধানীর অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সাংবাদিক রঞ্জন সেনের লেখা ‘এশিয়ান গেমসে চায়না দর্শন’ বই এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, চীনের ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে প্রশিক্ষণ সহায়তা দিচ্ছে তাতে সেদেশে হাজার হাজার শুভেচ্ছা দূত তৈরি হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে পারে।
“আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৫ বছর হলেও চীনের সঙ্গে আমাদের বাঙ্গালি জাতির যোগাযোগ কমপক্ষে দুই হাজার বছর আগের। সেই পরিচয়ের ধারাবাহিকতায় ক্রিকেটের মাধ্যমে নতুন করে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটছে। এই ক্রিকেট দিয়েই আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করতে চাই।”
চীন অনেক দিক থেকেই বিশাল এক দেশ- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বলা হচ্ছে আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে তারা বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নম্বর দেশ হবে। সেটা হবে তাদের হারানো গৌরব ফিরে আসার। কেননা অনেক আগে চীন বিশ্ব অর্থনীতির এক নম্বর দেশ ছিল।”
গত চার বছর ধরে চীনের জাতীয় দলের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
চীনা ক্রিকেটের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চীন বিশ্বের নতুন ক্রিকেট শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হবে।”
সেখানে ক্রিকেটের উন্নয়নে সব ধরনের সুবিধা রয়েছে জানিয়ে বুলবুল বলেন, “বিশ্বের জনসংখ্যার প্রতি ৫ জনের একজন চীনা। অলিম্পিক গেমসে বেশ কয়েক বছর ধরে তারা প্রথম থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকছে। অর্থনীতিতেও তাদের অবস্থান বেশ শক্ত। এই অবস্থায় আমি চীনা ক্রিকেটের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি।”
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক জালাল ইউনূস, এপির ব্যুরো প্রধান ফরিদ হোসেন, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওয়ালিউল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।