যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশে বিদেশিদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে এবং পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আস্থা রাখার মতো স্বচ্ছ এবং আইনি পরিবেশ থাকা খুব প্রয়োজন। এ ধরনের পরিবেশ থাকলে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আসতে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিদেশি বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশের আইনি পরিবেশ’ শীর্ষক এক সভায় মঙ্গলবার এসব কথা বলেন বার্নিকাট। অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সভাটির আয়োজন করে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এদেশ যেমন মার্কিন বিনিয়োগ চায়, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রও এদেশের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ চায়। এটি দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই ইতিবাচক হবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সরকার বিনিয়োগ চায়। এজন্য অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। বিনিয়োগে বিদ্যমান সংকট দূর করতে নতুন আইন করছে সরকার। বিনিয়োগ বোর্ড এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এখন এটি শুধু সংসদে আইন হিসেবে পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রস্তাবিত এ প্রতিষ্ঠানে ওয়ানাস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বিনিয়োগের আইনি সমস্যা সমাধান দেয়া হবে। আইনি পরিবেশ সুরক্ষায় কোম্পানি আইনও সংশোধন করা হচ্ছে। এ আইনটিও মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগির নতুন কাস্টমস অ্যাক্ট করা হবে। এ সংক্রান্ত অন্যান্য আইনেরও প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা ধস এবং তাজরীন ফ্যাশনস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর একটি স্বচ্ছ সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পোশাক খাত এগুচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা-জিএসপি ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।