সিরিয়াকে আরব লীগ থেকে বহিষ্কার করা হলেও বাগদাদে শুরু হওয়া সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল সিরিয়া। বৃহস্পতিবার বাগদাদে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আরব নেতারা মূলত সিরিয়া প্রসঙ্গেই আলোচনা করেছেন।
এ সময় সিরিয়ার সংঘাত অবসানে জাতিসংঘ সমর্থিত শান্তি পকিল্পনা অবিলম্বে এবং পরিপুর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য বাশার আল আসাদের প্রতি আহ্বান জানায় আরব লীগ।
বৃহস্পতিবার ইরাকের সাবেক রিপাবলিকান প্রাসাদে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নয়টি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন উপস্থিত হন। উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র কুয়েতের আমির বাগদাদের সম্মেলনে যোগ দেন।
ধারণা করা হচ্ছে শিয়া প্রাধান্যবিশিষ্ট ইরাকের বর্তমান সরকারে সুন্নিরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এ ধারণা থেকেই সুন্নিপ্রধান আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকার প্রধানরা সম্মেলনে অংশ নিতে বিরত থাকে। সরকার প্রধানেরা অংশ না নিলেও দেশগুলো সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।
এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, দামেস্ক কফি আনানের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। তবে তিনি সর্তক করে দিয়ে বলেন বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা প্রদান বন্ধ করা না হলে এ উদ্যোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিআরআইসিএস বা ব্রিক অর্থনৈতিক জোটের নেতাদের সম্মেলনে চিঠি পাঠিয়ে আসাদ সিরিয়ার বিরুদ্ধে অপতৎপরতা বন্ধ করতে এর সঙ্গে জড়িত দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগে ব্রিকস নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি পরিকল্পনার ব্যাপারে আসাদের মন্তব্যকে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিরিয়ার প্রতি।
তবে সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সর্তক করে দিয়ে বলেন, বিবদমান পক্ষগুলোকে অস্ত্রে সজ্জিত করা হলে সিরিয়ায় একটি দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন তার ভাষণে কফি আনানের পরিকল্পনা অবিলম্বে বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববাসী এখন প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাসকে কাজে বাস্তবায়ন দেখতে চায়। নষ্ট করার মতো কোনো সময় আর নেই।’