সরকারের দুই বছর : উন্নয়ন হলেও কাটেনি শঙ্কা

সরকারের দুই বছর : উন্নয়ন হলেও কাটেনি শঙ্কা

1671দেশ পরিচালনায় নতুন মেয়াদে দুই বছর পার করলো শেখ হাসিনার সরকার। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা। এরপরের বছর ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন কেন্দ্র করে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়লেও এবার চিত্র অনেকটা ভিন্ন। যদিও সরকার রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তোলার অঙ্গীকার ছিল। ইশতেহারে এ-সংক্রান্ত অগ্রাধিকারভিত্তিক দফায় বলা হয়েছিল, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত এবং নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন নিশ্চিত করার মতো মৌলিক প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি ও পেশাজীবী সংগঠন এবং সিভিল সমাজসহ দল-মতনির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

কিন্তু গত দুই বছরে সরকারের পক্ষ থেকে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এমনকি বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে বড় রাজনৈতিক দল-বিএনপি আলাপ-আলোচনার প্রস্তাব দিলেও সরকার তা বিবেচনা করছে না।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার নানা সমালোচনা করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এখন লাইন বদলাইছেন। তিনি নাকি আর জ্বালাও-পোড়াও করবেন না। মানুষ মারবেন না। তবে যাদের মেরেছেন তাদের জন্য বিচার হবে।

কিন্তু সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় চলমান কর্মসূচিগুলো অব্যাহত রয়েছে। কৃষিখাতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় কৃষির ফলন ভালো হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কৃতিত্ব বজায় আছে। প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ প্রায় একই রকম আছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের মনোযোগ অনেক, মোবাইল ফোনের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়।

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ করতে চায়। মাথাপিছু আয় ১৩১৪ ডলারে উন্নীত করে এই পথে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে নিন্মমধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তার জন্য বিনিয়োগে স্থবিরতা রয়েই গেছে।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে থাকা নয়টি অগ্রাধিকারের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। যদিও মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছ আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক)।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় বেশ উন্নয়ন করেছে। তবে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। রাজনৈতিক শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ