সার্কের পর্যটন বিকাশে ফ্রি ভিসা প্রয়োজন : অর্থমন্ত্রী

সার্কের পর্যটন বিকাশে ফ্রি ভিসা প্রয়োজন : অর্থমন্ত্রী

সার্কভ‍ুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও পর্যটন বিকাশে ফ্রি ট্রানজিশান ভিসা চালু করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম `সার্ক ট্রেড ফেয়ার ও টুরিজম মার্ট-২০১২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সার্ক অঞ্চলটিকে বিউটি অব নেচার বলা যায়। এ অঞ্চলে টুরিজমের বিকাশ করাতে পারলে সব দেশই লাভবান হবে এবং পর্যটন খাত বিকাশের পাশাপাশি বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সেই সঙ্গে বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যটন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটন খাত বিকাশে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে ভিসা জটিলতা।’

সার্ক এ জটিলতা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি মেলার শুভকামনা করে বলেন, ‘এতে করে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ ব্যবসা ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, ‘বিশ্বের ৬ ভাগের ১ ভাগ মানুষ সার্কভুক্ত দেশগুলোতে বাস করে। কিন্ত সে অর্থে এ অঞ্চলে ব্যবসার তেমন প্রসার ঘটেনি।’

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। এছাড়া আমাদের দেশের ওভেন, ফার্নিচার শিল্পের দ্রুত বিকাশ হচ্ছে। চাহিদা বাড়ছে আমাদের নির্মিত জাহাজেরও।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘ব্যবসা ও পর্যটন খাত মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একটি আরেকটির সঙ্গে জড়িত।’

পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটলে ব্যবসারও বিকাশ ঘটবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পর্যটন শিল্পের অন্তরায় ভিসা সমস্যার সমাধানে সার্কের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হওয়া উচিৎ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ বলেন, ‘আমাদের নিকটবর্তী দেশ নেপালের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন। কিন্তু আমাদের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে এর বিকাশ ঘটছে না।’

অনুষ্ঠানে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী লেক রাজ ভট্টা, মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহ্, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম মোর্তুজা রেজা চৌধুরী, টুরিজম বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিষ বোস বক্তব্য রাখেন।

তিনদিনব্যাপী এ মেলায় ৩৫০টি স্টল থাকছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের জন্য ৫০টি ও বাণিজ্যের জন্য ১৮০টি। এছাড়া অন্যান্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য ১০০টি ও সার্ক পর্যবেক্ষক দেশগুলোর জন্য ২০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।

অর্থ বাণিজ্য