নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার স্থগিত ১০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ (১২ জানুয়ারি) মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও চৌমুহনী পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার মো. মনির হোসেন।
তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৫টি মোবাইল টিম, ৪টি স্ট্রাকিং ফোর্স, র্যাবের ৫টি টিম, দুই প্লাটুন বিজিবি, প্রতি কেন্দ্রে ১ জন করে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নির্বাচন পর্যাবেক্ষক দল মাঠে থাকবে। তিনি আরও জানান, আজ রাত ১২টা থেকে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচনে ২০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০টিতে ভোট সম্পন্ন হলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, বিশৃঙ্খলা, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ১০টি কেন্দ্রে (উত্তর নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ কেন্দ্র), উত্তর নাজিরপুর নুরানী মাদরাসা (নারী কেন্দ্র), দক্ষিণ নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ কেন্দ্র), মধ্য করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ( পুুরুষ কেন্দ্র), মধ্য করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নারী কেন্দ্র),গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, (পুরুষ কেন্দ্র), বেগমগঞ্জ সকরারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (নারী কেন্দ্র), চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজ (পুরাতন ভবন) ( পুরুষ ) কেন্দ্র, চৌমুহনী সরকারি এসএস কলেজ ( নতুন ভবন ) (নারী কেন্দ্র), উত্তর হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নারী কেন্দ্র) ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে।
ঘোষিত ১০টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনেনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। ভোটের ব্যবধান ১ হাজার ৫৯৫। স্থগিত হওয়া ১০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২৪ হাজার ৩১০। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৮৩৭ এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৪৭৩ জন।