বর্তমান সরকারের সময়ে যাতে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু না হয় তার জন্য দেশের ভেতরে ও বাইরে একটি মহল খুবই তৎপর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার বিকেলে সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সার্ক কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত স্বাধীনতা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, যে মহলটি বা যারা পদ্মা সেতুর মত জাতীয় স্বার্থকে তুচ্ছ করে ভাবছে এবং নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে তাদের মুখে এক দিন শ্রাবণের সব কালো মেঘ নেমে আসবে।’
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগেই আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙা-চোরা রাস্তা ও সেতু ঠিক করতে মাঠে নেমেছি, বিশ্বাস করি কাজ করলে ফান্ডের কোন অভাব হবে না।
যোগাযোগমন্ত্রী আরো বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার ৪মাসের মধ্যে কাজের যে গতি এসেছে তা দেখে একটি মহলের আতে ঘাঁ লেগেছে। তারা এই গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে অপপ্রচার ও চরিত্র হননে ছুরি হাতে মাঠে নেমেছে। এদের মোকাবেলা এবং জনপ্রত্যাশার ব্যাপারে সকলের সহায়তা প্রত্যাশা করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র, দারিদ্র এবং জঙ্গিবাদ-এই তিনটি বিষয়ে আমাদের কমন গ্রাউন্ড তৈরি করতে হবে। যে যেদলই করুন না কেন দেশটাকে দুর্বল করবেন না।এতে প্রভাবশালী প্রতিবেশীরা প্রভু হয়ে যাবে, তাদের দাসত্ব করতে হবে।
তিনি বলেন, বন্ধুত্ব চাই সমতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে। এই দেশপ্রেম যাদের মধ্যে নাই তাদের আগামী প্রজন্ম ক্ষমা করবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক তথ্য সচিব মার্গুব মোরশেদ বলেন, ৪০ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন নেই, যে গণতন্ত্র আছে তাও নড়বড়ে। তবে গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, রাজনীতির মধ্যে স্বচ্ছতা না থাকলে জনপ্রত্যাশা পূরণ হয় না।
অন্যান্যের মধ্যে দৈনিক ভোরের ডাকের সম্পাদক কেএম বেলায়েত হোসেন, ইউনিরুট গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোবারক হোসেন, শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন, সমাজসেবক আব্দুল আজিজ দেওয়ান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সার্ক কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সুজন দে।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উৎসব আয়োজনে সহায়তা দেয় ইউনিরুট গ্রুপ।