হরতালেও যানজট

হরতালেও যানজট

1537জামায়াতের ডাকা হরতালে সাড়া দেয়নি রাজধানীবাসী। হরতালের অন্যান্য দিন যান চলাচল কম থাকলেও বৃহস্পতিবার হরতালের চিত্র ছিল অন্যরকম। সকাল থেকেই রাজধানীর সেই চিরাচরিত দৃশ্যই চোখে পড়ে। হরতালের দিনেও যানজটে পড়েন রাজধানীবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে গণপরিবহনের চলাচল স্বাভাবিক ছিল সকাল থেকেই। সকালে কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভির লক্ষ্য করা যায়। রাস্তায় বাড়তে থাকে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও।

এ দিন বেলা দু’টার দিকে শাহবাগ-মতিঝিল রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা যায়। তবে সড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ইসলামী ঐক্যজোটের সম্মেলন। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রধান এই সড়কে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।

এদিন উত্তরা থেকে এসে হাইকোর্ট মোড়ে আটকা পড়েন আব্দুল হালিম নামের এক বাসযাত্রী। তিনি বলেন, ‘আজ যে হরতাল তা মনে করার কোনো কারণ নেই। অন্যান্য দিনের মতই যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। এই শহরের কোনো অভিভাবক আছে বলে মনে হয় না।’

একইভাবে এদিন সকালে সদরঘাট থেকে বাড্ডা পৌঁছাতে আলী আরাফাতের সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভেবেছিলাম হরতালের দিন সময় কিছুটা কম লাগবে। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকবে। তা হয়নি। আজ অফিসে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাবে।

অপরদিকে হরতাল বিরোধীদেরও তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি রাজধানীতে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান তেমন চোখে পড়েনি। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুুষ্ঠিত হলেও মূল সংগঠন বা অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের কোনো কর্মসূচি ছিল না।

রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলও করা হয়নি হরতাল বিরোধীদের পক্ষ থেকে। যেন অনেকটাই ঢিলেঢালা অবস্থার মধ্য দিয়ে হরতালবিরোধী কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ বহাল রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে সংগঠনটি।

রাজনীতি