তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাচ্ছে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
তবে সিএনজি স্টেশনগুলো এ ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।
ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. নাজমুল হক শনিবার বলেন, “দুপুর ১টায় মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের দাবি ও ধর্মঘট কর্মসূচি বিস্তারিত জানানো হবে।”
নাজমুল পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনেও সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, “তেল বিক্রির কমিশন না বাড়ানোয় আমরা বাধ্য হয়ে ধর্মঘটে যাচ্ছি। সরকার গত কয়েক মাসে দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। অথচ পাম্প মালিকদের কমিশন বাড়াচ্ছে না।”
ধর্মঘট হলে সারাদেশে প্রায় ৯ হাজার পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরির মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
সর্বশেষ গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর জ্বালানির তেলের দাম বৃদ্ধির পর প্রতি লিটার ডিজেল ৬১ টাকা, কেরোসিন ৬১ টাকা, পেট্রোল ৯১ টাকা, অকটেন ৯৪ টাকা ও ফার্নেস অয়েল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঐক্য পরিষদের অন্য দাবিগুলো হলো- পেট্রোল পাম্প স্থাপনে নীতিমালা প্রণয়ন, ট্যাংক লরির ভাড়া বৃদ্ধি এবং লরির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে পুলিশি ‘হয়রানি’ বন্ধ করা।
নাজমুল হক বলেন, “জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও ট্যাংক লরি শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে জন্য গত কয়েক বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। সরকার দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করছে না।’
এর আগে ২০১০ সালের ৯ মে একই ধরনের দাবিতে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট শুরু করে ঐক্য পরিষদ। সারাদেশে পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি এবং ট্যাংক লরির মাধ্যমে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ওইদিন দুপুরেই প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তাদের আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করে সংগঠনটি।
এরপর গত বছর ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে ২২ মে থেকে ফের ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় ঐক্য পরিষদ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু দাবি মেনে নেওয়ার লিখিত অঙ্গীকার পাওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়।