নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে ‘২৬ মার্চ বাংলাদেশ ডে’ বিল পাস হয়েছে। এখন থেকে নিউইয়র্ক সিনেটের উদ্যোগে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ ডে’ পালিত হবে।
৩০ মার্চ শুক্রবার আলবানিতে অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে বিলটি পাস হয়।
সকাল ১০টায় পূর্ণাঙ্গ সিনেট অধিবেশন বসার সঙ্গে সঙ্গে ‘২৬ মার্চ বাংলাদেশ ডে’ বিলটি সিনেটে উত্থাপিত হয় এবং ২০ মিনিটের মধ্যেই তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
বিলটি উত্থাপনকালে সম্ভাব্য ডেমোক্রেটিক দলীয় অ্যাসেম্বলিম্যান এটর্নি লুইস সুপালভেদা বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটি কেবল দ্রুত অগ্রসরমানই নয়, বাংলাদেশিরা অত্যন্ত কর্মঠ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে পাসে সিনেট অধিবেশেনে উপস্থিত আমন্ত্রিত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি উল্লাস প্রকাশ করেন। বিলটি সিনেটে উত্থাপনের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলিষ্ঠ বক্তব্য রাখেন সিনেটর রবিন দিয়াজ।
অধিবেশনের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মওলানা অহিদ চৌধুরী। নিউইয়র্ক সিনেট অধিবেশনের ইতিহাসে এই প্রথম পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে পাঠ করা হয়।
স্টেট সিনেটর রুবিন দিয়াজের বিশেষ উদ্যোগ ও প্রস্তাবে গত ২৭ মার্চ মঙ্গলবার প্রস্তাবটি সিনেটে উত্থাপিত হয়। অনুষ্ঠানে ৬০ জন বিশিষ্ট বাংলাদেশিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং আমন্ত্রিতদের মধ্যে ৩৪ জন বাংলাদেশি সিনেট অধিবেশনে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, কমিউনিটি লিডার জাকির খান ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি মাহবুব এ আলমের প্রস্তাবে সিনেটর রুবিন দিয়াজ বিলটি সিনেটে উত্থাপন করেন। স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান এরিক স্টেভেনসন বিলটির পক্ষে সমর্থন জানাতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে সিনেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসবাসী, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা জাকির খান এই প্রতিনিধিকে বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশেষ আগ্রহে ব্রঙ্কস প্রবাসী বাংলাদেশিদের ‘বন্ধু-ভাই’ হিসেবে পরিচিত এটর্নি লুইস সিপুলভেদার সার্বিক সহযোগিতায় ‘২৬ মার্চ বাংলাদেশ ডে’ বিলটির বিষয়ে বিগত তিন-চার মাস আগে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এদিকে স্টেট সিনেটর রুবিন দিয়াজের উদ্যোগে গত ২৪ মার্চ ব্রঙ্কসে প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ক সিনেটের সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।
ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় ৭টি বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠনকে সিনেটর রুবিন দিয়াজের পক্ষ থেকে প্রক্লেমোশন প্রদান করা হয়। সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিল (বিএসিসি), বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কস, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক, ব্রঙ্কস উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন, ব্রঙ্কস পূজা কমিটি, স্টারলিং বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন, পার্কচেস্টার কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ও ব্রঙ্কস ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
সিনেট অধিবেশনে বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে কমিউনিটি নেতা জাকির খানসহ বাংলাদেশ সোসাইটি ইঙ্কের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি জন এন উদ্দিন, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি মাহবুব এ আলম, , ব্রঙ্কস বাংলাদেশ সোসাইটি ইঙ্কের সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন, নর্থ আমেরিকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম বাদশা, জাতীয় পার্টির সমন্বয়কারী আব্দুর নূর ভুইয়া, স্টারলিং বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিন, ফেঞ্চুগঞ্জ অরগাইজেশনের সভাপতি আলহাজ দুদু মিয়া, আব্দুল গাফফার চৌধুরী খসরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।