ডিসিসি উত্তরে আ.লীগ প্রার্থী হচ্ছেন আখতারুজ্জামান

ডিসিসি উত্তরে আ.লীগ প্রার্থী হচ্ছেন আখতারুজ্জামান

ডিসিসি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান।

দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা এই আগ্রহের কথা জানান বলে সূত্র জানিয়েছে।

এই আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নারও মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। গত জাতীয় কাউন্সিলে মান্না দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই। তবে তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। এ সময় নেতারা শেখ হাসিনার কাছে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ তুলেন। তখন শেখ হাসিনা বলেন, তাহলে আখতারুজ্জামান আমাদের দলের হয়ে নির্বাচন করুক। আখতার ইচ্ছা করলে প্রার্থী হতে পারেন। সবারইতো নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে।

এদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের নির্বাচন করার জন্য ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ইতোমধ্যেই গত ২২ মার্চ নিজেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

এছাড়া বৈঠকে শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আসন্ন আলোচনার বিষয়টি উঠে আসে। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আকরাম হোসেনের দল থেকে পদত্যাগের ব্যাপারটি আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আকরাম হোসেনের পদত্যাগপত্র গৃহিত হবে বলে জানান। তবে আসন্ন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে শামিম ওসমান, সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি ও সাংসদ কবরী সারোয়ারকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর আকরাম হোসেন দল থেকে পদত্যাগ করলেও তার পদত্যাগপত্র এখনো দলে গৃহীত হয়নি।

বৈঠকে দেশের সমূদ্র সীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। আগামী ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এজন্য জিল্লুর রহমান সিদ্দিকিকে আহ্বায়ক করে একটি নাগরিক কমিটিও গঠন করা হয়।

এছাড়া এর পাশাপাশি আগামী ৯ থেকে ১২ এপ্রিল বাংলাবান্ধা থেকে টেকনাফ ও ১৯ থেকে ২১ এপ্রিল তামাবিল থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত পদবিক্রম করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন।

বাংলাদেশ