রাজধানীর কাফরুল থানাধীন একটি নাম সর্বস্ব ওষুধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কাফরুরের ইব্রাহিমপুর ৪৩/৪, সৃজনী সড়কস্থ ওই প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় র্যাব-৪।
পরে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৯৪০- এর ১৮ ধারার ভিত্তিতে ২৭ ধারার অপরাধে ওষুধ প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আল আমিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাস কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন র্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মো. আবু সাঈদ খাঁন, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল ও স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মো. আব্দুল ওয়ারেস এবং সিপিসি সদরের এএসপি জনাব উনু মং।
অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর মহাখালীর ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহবুব হোসেন।
র্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মো. আবু সাঈদ খাঁন জানান, অভিযান চলাকালে নামবিহীন ওই ওষুধ প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ভবনে দ্বিতীয় তলার দুইটি কক্ষে বিভিন্ন কোম্পানির ফ্রিজিশিয়ান স্যাম্পল পাওয়া যায়, যা বিক্রিয় যোগ্য না। ওষুধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মওজুদ, প্রদর্শন ও সংরক্ষণরত অবস্থায় ওষুধগুলো জব্দ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির কোনো ড্রাগ লাইসেন্স নেই। ওষুধ বিক্রয়ের জন্য কোনো আইন কর্তৃক নির্ধারিত ফার্মাসিস্ট নেই। উক্ত প্রতিষ্ঠানে বৈধ কাগজপত্র ও ওষুধের উৎস সর্ম্পকে সঠিক তথ্য না পাওয়ায় ১৯৪০- ড্রাগ আইনের ১৮ ধারার ভিত্তিতে ২৭ ধারার অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনাদায়ে ৩ মাস কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।