অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেল- ২০১৫ এর প্রয়োগ ও অনুশীলনের পর কোনো অসংগতি থাকলে তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অর্থ বিভাগ) মো. জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পূর্ণ নতুন বেতনস্কেলে অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেল- ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কাঠামোতে অনেক নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাস্তবক্ষেত্রে এ কাঠামোর প্রয়োগ ও অনুশীলনের পর কোনো অসংগতি থাকলে অর্থবিভাগ তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। সচরাচর প্রাথমিক বিবেচনার পর বেতন-ভাতা কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী নতুন স্কেল প্রবর্তণ করা হয়। প্রয়োজনে তাতে সংশোধনী করা হয়। সার্বিক বিবেচনায় জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সকল মহলের সহযোগিতা সরকার কামনা করছে।
এ ছাড়া বর্তমান পে-স্কেল সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। সার্বিকভাবে বেতন ও ভাতাদি প্রায় দ্বিগুণের অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচলিত ভাতার পাশাপাশি বিশেষ ভাতাসমূহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে ভাতার পরিমাণ আগের চেয়ে কোনো ক্ষেত্রে হ্রাস করা হয়নি। এ ছাড়া শিগগিরই বাংলা নববর্ষ ভাতা এ অর্থবছরে থেকে দেয়া হবে। এত অধিক হারে বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও কোনো কোনো মহল থেকে সঠিক তথ্যাদি পরিবেশন না করার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্পষ্টতার সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ যাতে টাইমস্কেল বা সিলেশন গ্রেড ব্যতীত গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ প্রাপ্য হন সে জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়া গেলে অর্থ বিভাগ দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় অনাপত্তি প্রদান করবে।
জাতীয় অধ্যাপকদের বেতন বা সম্মানী জ্যেষ্ঠ সচিবের বেতনের সমান করার বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলেও এই সম্মানী কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে অর্থ বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের পত্র যোগাযোগ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাই নতুন এ বেতন কাঠামোর প্রয়োগ ও অনুশীলনের পর কোনো অসংগতি থাকলে অর্থ বিভাগ তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।