পদ্মাসেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালেন গোল্ডস্টেইন বলেছেন, ‘দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বুধবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে সরকারের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অ্যালেন গোল্ডস্টেইন একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো প্রকল্পে অর্থ খরচের ব্যাপারে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা থাকা উচিত। এজন্য করপ্রদানকারী জনগণের কাছে বাংলাদেশ সরকারের জবাবদিহিতা থাকা উচিত, তেমনি দাতা সংস্থার কাছেও জবাবদিহিতা থাকতে হবে।’
একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতায় হতাশা প্রকাশ করেন। প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কারণেই আটকে গেছে পদ্মাসেতুর অর্থায়ন। বিশ্বব্যাংক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সরাসরি অভিযোগ এনে ঋণসহায়তা স্থগিত করে দেয়।
যদিও পদ্মাসেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করে আসছে সরকার। দুদকের তদন্তেও দুর্নীতি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সৈয়দ আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয় সরকার।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ, পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ বা কমিশন চেয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাঁকো ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরা। সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম ব্যবহার করে অর্থ চাওয়া হয়।
মন্ত্রী হওয়ার পরপর সাঁকো ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদ থেকে অব্যাহতি নেন সৈয়দ আবুল হোসেন। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকেরা হলেন মন্ত্রীর স্ত্রী খাজা নার্গিস হোসেন এবং দু’ মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন।