অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে এক লাখ টন গম কিনবে সরকার। প্রতি কেজি গমের দাম ধরা হয়েছে ২৪ টাকা। পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু করে ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। বছরে কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি গমের উৎপাদন খরচ হয়েছে ২১ টাকা। মঙ্গলবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় গম কেনার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ এছাড়াও সুগন্ধী চাল রপ্তানীর ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার স. ম. গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষি সচিব মনজুর হোসেন, খাদ্য সচিব বরুণ দেব মিত্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিকল্পা কমিশনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয় এ বছরে গমের আবাদ এবং উৎপাদন ভাল হয়েছে। যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে কৃষক লাভবান হবে এবং আগামীতে আরো গম উৎপাদনে উৎসাহিত হবে। বর্তমানে গমের চাহিদা প্রায় ৪০ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত হয় ১০ লাখ টন। অবশিষ্ট গম আমদানি করতে হয়। এ বছরে সরকারিভাবে নয় লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা আছে।
সভায় জানানো হয়, বেসরকারি পর্যায়ে এ বছর গম আমদানি কম হয়েছে। কিন্তু সরকার আমদানি অব্যহত রেখেছে এবং ওএমএস-এর মাধ্যমে আটা বিক্রি কার্যক্রম চলছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে গম কেনা হলে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ার কোন আশঙ্কা নেই।
সভায় সুগন্ধী চাল রপ্তানির ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০০৯ সালের ১৯ মে সুগন্ধী চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সভায় জানানো হয় বর্তমানে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চাল মজুত রয়েছে। এ বছরে ৪৭ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু আবাদ হয়েছে প্রায় ৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে। অপরদিকে গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ ভাগ অতিরিক্ত জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগামী বোরো মৌসূমেও উৎপাদন ভাল হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, গতবছর অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারিভাবে কোন গম কেনা হয় নি। ২০১০ সালে ৫০ হাজার টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে প্রায় ৪৭ হাজার টন গম কেনা হয়েছিল। প্রতিকেজি গমের ক্রয়মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।