সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৌর নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকা এটি তাদের শুভবুদ্ধির উদয়। এটি তাদের একটি ইতিবাচক স্ট্যান্ড। মন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনে বিজয় হয়েছে জনগণের এবং গণতন্ত্রের। এখানে কেউ হারেনি। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যদি এভাবে বিএনপি বয়কটের ট্রাডিশনাল কালচার থেকে সরে আসতো তাহলে দেশের রাজনীতিতে গুণগত একটি পরিবর্তনের ভালো সূচনা হতে পারতো।
এ ইতিবাচক ধারাটা অব্যাহত রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ও তারা অংশগ্রহণ করলে দেশ শুভ ফল বয়ে আনবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পৌর নির্বাচন যে শতভাগ শুদ্ধ হয়েছে তা আমি বলবাে না। তবে দলীয় প্রতীকে এটি আমাদের দেশে প্রথম নির্বাচন। এটি আমাদের ইতিহাসে প্রথম। সে হিসেবে আমাদের জন্য এটি প্রথম অভিজ্ঞতা। কিছু ভুল ত্রæটি হতে পারে। কিন্তু মোটামুটি শান্তিুপূর্ণ ও ভালো নির্বাচন আমরা করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো নির্বাচন করতে পারবো।
তবে এবারের নির্বাচনের বড় বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে মনে করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয় নির্বাচনে যেভাবে মারামারি খুনোখুনি হয়ে থাকে কিন্তুু সেখানে এবার মাত্র একজন লোক মারা গেছেন।
এসময় তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে বলেন সেখানেও নির্বাচনে ৪০ জনের মতো লোক মারা গেছেন। অথছ যেখানে দীর্ঘ দিন ধনে গনতন্ত্রের চর্চা রয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা হয়। কিন্তু তাও কম হয়েছে। এদিক থেকে এ নির্বাচন ইতিবাচক।
এসময় তিনি পৌর নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপির নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান বিষয়ে বলেন, এটি তাদের দীর্ঘ দিনের ট্রাডিশান। তারা কম সংখ্যক পৌরসভায় জয় লাভ করেছে। তবে তাদের এটি শেষ কথা নয়। এ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে তারা পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
এসময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিম, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের (মীর্জা), কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।