রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তায় উদযাপিত হয়েছে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ। নববর্ষের প্রথম প্রহরে নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছিল র্যাব-পুলিশের নিরাপত্তা বলয়। নিয়মিত চেকপোস্টের বাইরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতাধিক পয়েন্টে বসানো ছিল তল্লাশি চৌকি।
পাশাপাশি র্যাবের পক্ষ থেকেও ছিল বিশেষ সতর্কতা। কূটনৈতিকপাড়া, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে অতিরিক্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। রাতে গুলশান-বারিধারা এলাকায় যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের তুলনায় এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে একটু বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব-পুলিশ। মাঠপর্যায়ে পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে রয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য।
নগরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক নারী পুলিশ। পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ছাড়াও থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তার জন্য এপিসি ও জলকামানও রয়েছে।