মহাখালীতে তিতুমীরের ছাত্রদের অবরোধ-ভাংচুর

মহাখালীতে তিতুমীরের ছাত্রদের অবরোধ-ভাংচুর

পর্যটন কর্পোরেশনের একটি বারে মঙ্গলবার রাতে ভাংচুরের ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্রদের আটক করার প্রতিবাদে মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করে ভাংচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে সড়ক অবরোধের ফলে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে গুলশান ১ নম্বর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে।

মহাখালীতে পর্যটন কর্পোরেশনের ‘রুচিতা’ বারে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ভাংচুরের ঘটনায় তিতুমীর কলেজের অন্তত ২৬ ছাত্রকে আটক করে পুলিশ।

আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে বেলা ১২টার দিকে তিতুমীর কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তারা রাস্তায় কাগজ জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ইটপাটকেল ছুড়ে রাস্তার পাশের কয়েকটি ভবনের কাঁচও ভাংচুর করে তারা। তিনটার দিকে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।

মঙ্গলবার রাতে ছাত্রাবাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগে গুলশান থানা ওসির পদত্যাগ দাবি করে শ্লোগান দেয় ছাত্ররা।

গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগের ঘটনার জের ধরে শিক্ষার্থীরা ভাংচুর করেছে। বিষয়টি নিয়ে কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তিনি আশা করেন।

কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ দিলারা হাফিজ সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ ছাত্রাবাসে ঢোকার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়নি। এখন তারা আটক ছাত্রদের জিম্মায় নিতে বলছে। এটা হতে পারে না। তারা যে ভাবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সে ভাবেই ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মুচলেকা দিয়ে আটক ছাত্রদের আনা হবে না। তারা যদি অন্যায় করে থাকে তা হলে আদালতের মাধ্যমে জামিনে আনার চেষ্টা করা হবে।

তিনি জানান, পুলিশ ছাত্রাবাসে ঢুকে শুধু ছাত্রদের মারেনি। শিক্ষকদেরকেও মারধর করেছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

বারে ভাংচুরের ঘটনায় গতকাল রাতেও মহাখালী আমতলী মোড় থেকে গুলশান ১ নম্বর অভিমুখে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ভাংচুরের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গুলশান থানার ওসি রর্ফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, “রুচিতা বারে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে একেবারেই ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে হয়তো ছেলেরা এসে যোগ দেয়।”

আটকদের কারা দোষী কারা দোষী নয় তা পুলিশ যাচাই করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা দোষী সাব্যাস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ