প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু আমি রাজি হইনি।
ক্ষমতার লোভে তার গ্যাস বিক্রি করতে চাইলেও পরে তা পারেনি। আমি বলেছিলাম গ্যাস বিক্রি করতে দেবো না। দেইনি।
বিএনপি ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানি কায়দায় হত্যা সন্ত্রাস চালিয়েছে। তারা ক্ষমতায় আসলে লুটপাট ও জঙ্গিবাদ শুরু হয়। নিজের দলের লোককেও তারা রেহাই দেয়না। চট্টগ্রামের জামাল উদ্দিনকেও তারা গুম করেছিলো।
পলোগ্রাউন্ডে ১৪ দলের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঘড়ির কাঁটা ৫টার ঘর ছুঁতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণ শুরু করেন।
শুরুতেই তিনি বারো আউলিয়ার এই পুণ্যভুমি, সমুদ্রবিধৌত ও পাহাড়ঘেরা জনপদের মানুষকে মহাসমাবেশে হাজির হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে ১৪ দল আয়োজিত মহাসমাবেশ মাঠ যেন হয়ে উঠেছে এক টুকরো বাংলাদেশ। বিশাল পলোগ্রাউণ্ডের পরিসরকে অতি তুচ্ছ করে তুলেছে বিপুল জনতার ঢল।
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত চারিদিক। সবকিছু ছাপিয়ে উঠছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি। যেনো গোটা দেশ এক হয়ে দাবি তুলছে।
এরই মধ্যে মঞ্চে ওঠেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে বিপুল করতালি, স্লোগান ও মুহুর্মুহু শুভেচ্ছা-স্বাগতম ধ্বনির মধ্যে মঞ্চে ওঠেন তিনি। এসময় হাত নেড়ে জনতার শুভেচ্ছার জবাব দেন।
পুরো মহাসমাবেশ মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ। মাঠ ছাপিয়ে জনতা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকের আরও দুই কিলোমিটার পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলাতো বটেই, ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও এসেছেন অন্যান্য জেলার অসংখ্য অগণিত নেতা-কর্মী।
সমাবেশের বিভিন্ন অংশে নেতা-কর্মীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে বসেছেন। যে যার অবস্থানে থেকে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তুলছেন গোটা সমাবেশ এলাকা।
যে যার এলাকার ঐতিহ্যকে তুলে ধরছেন তাদের স্লোগানের ভাষায়, সাজ-পোশাকে আর নানান ধরনের ফেস্টুন প্ল্যাকার্ডে ; তাদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে এসবের নানা স্মারক আর তাদের বাহারি পোশাকেও তারই সাক্ষর ।
পাহাড়িরা এসেছেন তাদের নিজস্ব সাজ-পোশাকে। হাতে বিশেষ ধরনের বাদ্য। তাতে আঁকা নৌকার ছবি।
সকলেরই যেন এখন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার অধীর অপেক্ষা। সে অপেক্ষারই অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ।