কুয়াশা ও তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে নীলফামারীর দুই পৌরসভা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন ভোটাররা। বুধবার সকাল ৮টা থেকে নীলফামারীর দুই পৌরসভার ৪২টি কেন্দ্রে এক যোগে ভোটগ্রহণ শুরু করেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসাররা।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শুরু থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে ।
জলঢাকা থানার ওসি দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ
করতে পারেন, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে থাকছে অতিরিক্ত নজরদারি। সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
জলঢাকা পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব বলেন, জলঢাকার ১০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে শুরু হয়েছে। যাবতীয় ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে গিয়ে যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হোন, সেজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য। নির্বাচনে জলঢাকা পৌরসভায় মেয়র পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জলঢাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৪ হাজার ৫২৭ জন ও পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৪৯ জন।
সৈয়দপুর পৌরসভার রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার জুলহাস উদ্দিন জানান, সৈয়দপুর
পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৭২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন লড়ছেন এখানে। সৈয়দপুরে মোট ভোটার ৮১ হাজার ৩৭১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৪০ হাজার ৫১৯ জন ও পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৮৫২ জন।
জলঢাকা পৌরসভার অর্নিবান বিদ্যাতীর্থ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে নারী ভোটারদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে ভোট প্রদান করে হাসি মুখে হাতের আঙ্গুলের কালি দেখিয়ে জানান দিয়েছেন তারা ভোট প্রদান করে বের হয়ে এলেন। নিজের
পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা খুশী।
অপরদিকে সৈয়দপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটাররা সুষ্ঠু ও শান্তিপূণ পরিবেশে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদানের অপেক্ষা করছে। সেখানে ভোটাররা ভোট প্রদান করে ধীরে ধীরে ফিরে যাচ্ছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় একই অবস্থা। ভোটারের উৎসব মুখোর ভিড়। সৈয়দপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় ও ফ্রি-আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কয়ানিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে চোখে পড়ে উর্দুভাষী ভোটারদের ঢল। এই চারটি ভোট কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৫১৫ জন ভোটার রয়েছেন।