পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিকে ইবোলামুক্ত ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মরণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার দেশটির রাজধানীতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত সর্বশেষ রোগী শনাক্তের ৪২ দিন পর রাজধানী কোনাক্রিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশটিকে ইবোলামুক্ত ঘোষণা দেয়। এ সময় স্বজনহারা অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকেই আনন্দে মেতে উঠেন। বুধবার গিনির সরকার বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও ও দাতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ঘোষণা উদযাপন করার কথা রয়েছে।
গিনির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইবোলায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে নিহত দেশটির ১১৫ স্বাস্থ্যকর্মী ও ইবোলা সচেতনতা তৈরি একটি দলের আট সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা মেডিসিন সানস ফ্রন্টিয়ারসের কর্মী ফানটা কুলেন রয়টার্সকে বলেন, আমার পরিবারের কয়েকজন সদস্য মারা গেছেন। এই পরিস্থিতি আমাদেরকে দেখিয়েছে যারা বেঁচে আছে তাদের জন্য কি ধরনের লড়াই করতে হয়েছে।
ইবোলা আক্রান্ত হয়ে গিনিতে দুই বছরের বেশি সময়ে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ছয় হাজার দুইশ শিশু এতিম হয়েছে। তবে মরণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে আফ্রিকার আরেক দেশ লাইবেরিয়ায়।
দেশটিতে চার হাজার ৮০০ মানুষ এ ভাইরাসে মারা গেছেন। আগামী জানুয়ারিতে লাইবেরিয়াকে ইবোলামুক্ত ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে মে এবং সেপ্টেম্বরে দেশটিকে দুদফা ইবোলামুক্ত ঘোষণা করা হলেও নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। গত নভেম্বরে সিয়েরালিয়নকে ইবোলামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।