আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদ্যস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কথা বলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন। পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা সঠিক নয় বলে যে দাবি করেছেন খালেদাও তাদের ভাষায় বলছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের সংখ্যা সঠিক নয়। এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ ৩০ লক্ষ নয় বলে যে দাবি করেছেন তা ছিল পাকিস্তানের দাবি। আজকে খালেদাও পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন। পাকিস্তান বলছে তারা ৭১ এ গণহত্যা চালায় নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সঠিক হচ্ছে না। ঠিক একই ভাষায় বিএনপি নেত্রীও বলছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সঠিক হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বরাবর দাবি করে থাকে যে স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু নয়। তাহলে আমি বলতে চাই, সমাজে যদি কারো বাচ্চা হয় তাহলে আজান কি সে পরিবারের কেউ দেয় না পাড়ার প্রতিবেশীরা দেয়। সেরকম ‘আজান দেয় কে আর বাচ্চা হয় কার!’’। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছেন তোমাদের যার যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকে। সেটিই ছিল স্বাধীনতার মূল ঘোষণা। এরপর থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এক দিনের ঘোষণায় এ মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ৫৭, ৬৯ এর আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচনের ফলে।’
এসময় মন্ত্রী নিজেদের সময়ের ছাত্র রাজনীতির স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমরা যখন রাজনীতি করতাম তখন চায়ের টেবিলে বসে বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের সংগঠনের দাবি দাওয়া নিয়ে বিতর্ক করতাম। আমাদের মধ্যে আদর্শের বিভিন্নতা ছিল কিন্তু আমরা চায়ের টেবিল থেকে বের হয়ে সবাই এক ছিলাম।’
আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদ্যস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ প্রমুখ।