ব্যারিস্টার ফখরুলের আদালত অবমাননার আদেশ ১১ জানুয়ারি

ব্যারিস্টার ফখরুলের আদালত অবমাননার আদেশ ১১ জানুয়ারি

1109মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ বিষয়ে আদেশ আগামী ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তবে তিনি অবমাননার বিষয়ে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদালতে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম নিজেই শুনানি করেছেন। এর আগে মামলায় ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম আল ফেসানী।

ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, আজ আমি আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। যদিও আমি আদালতে স্কাইপির বিষয়ে প্রশ্ন তোলে জবাব চাওয়ার যে আবেদন করা হয়েছিল সেটা আমার ছিল না। তারপরেও যেহেতু আদালত বিষয়টি অবমানা মনে করেছেন সেহেতু আমি ক্ষমা চেয়েছি। তার আগে কমপক্ষে সাতবার এই আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করার পর তা পেছানো হয়।

সাকা চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁস করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পরে কারাগার থেকে মুক্তি পান। আজ ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে নিজের মামলার শুনানি করেন।

২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি সংলাপ নিয়ে বিচারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে আবেদন করার কারণে তার প্রতি শোকজ নোটিশ জারি করেছিলেন তৎকালীন ট্রাইব্যুনাল-১।

একই সঙ্গে ওইদিন তার বিরুদ্ধে রুলও জারি করা হয়। রুলে ট্রাইব্যুনালের বিচারকি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার  অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে জানতে চান। ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির  মধ্যে রুলের জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।  বার বার সময় আবেদনের কারণে শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে।

ব্যারিস্টার ফখরুল একটি আবেদনে ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের সঙ্গে অন্য সব বিচারপতিরা যুক্ত আছেন কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিচারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং আদালত অবমাননা প্রশ্নে কারণ দর্শাতে (শোকজ) নোটিশ জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর আদালতের সঙ্গে অসৎ আচরণের অভিযোগে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করেছিল ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশ