জলঢাকায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

জলঢাকায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা

1066আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচন। আর এ নির্বাচনে নীলফামারীর জলঢাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

জলঢাকা পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর (আ.লীগ), বর্তমান মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু (স্বতন্ত্র- বিদ্রোহী আ.লীগ), ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী (বিএনপি), শাহ আব্দুল কাদের চৌধুরী বুলু (জাপা), জলঢাকা পৌর জামায়াতের আমীর আলহাজ মকবুল হোসেন (স্বতন্ত্র), শরিফুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ প্রচারণা করছেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরীর ধানের শীষ প্রতীকের প্রচার ও প্রচারণায় অংশ নিতে জলঢাকায় বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) আসবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জেলা বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুরে আসবেন। এরপর সৈয়দপুর থেকে জলঢাকায় যাবেন। এখানে তিনি দুইদিন অবস্থান করে দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণা ও পথ সভায় অংশ নেবেন। এ সময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে থাকবেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
Nilphamari
আসন্ন ২০ দলীয় জোটের মধ্যে বিএনপির প্রার্থীর পাশাপাশি জামায়াতের পৌর আমির মাওলানা মকবুল হোসেন থাকায় দলটি বিপাকে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে জামায়াতের ঘাটি বলে পরিচিত জলঢাকা পৌরসভায় দীর্ঘ ১৯ বছর পর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পৌরসভায় প্রার্থী হয়েছেন ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আসায় নতুন করে বিএনপিতে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে বলে বিএনপির জেলা নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করছেন।

বিএনপির প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের হুমকি প্রদান করে আসছে। প্রশাসনকে অভিযোগ দিলে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী পৌরসভা নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের দলীয়ভাবে দেয়ার পায়তারা করছে।

অপরদিকে সুবিধাজনক স্থানে রয়েছেন স্বতস্ত্র প্রাথী ও বর্তমান মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু। তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি করে বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এলাকাবাসী তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচন করবেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এলাকাবাসী তাকে নির্বাচিত করবেন। অপরদিকে শাহ আব্দুল কাদের চৌধুরী বুলু (জাপা) ও শরিফুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) এর প্রচারণা তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

জেলা সংবাদ