শুধু হংকংয়ের জন্য এক চীন দুই নীতি করেছে। সেই হংকংয়ের নতুন নেতা নির্বাচিত হলেন সিওয়াই লিউং। নির্বাচকদের একটি গ্রুপের ভোটের ভিত্তিতে রোববার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত প্রধানকে শহরের প্রধান নির্বাহী বলা হয়।
একান্ত নিজের প্রচেষ্টায় বড় ব্যবসায়ীতে পরিণত হওয়া লিউং অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হেনরি তাং এবং আলবার্ট হো’কে পরাজিত করেন।
অবশ্য মতামত জরিপে আগেই লিউং অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। আর চীনা সরকার প্রথমে তাংকে সমর্থন দিলেও পরে লিউংয়ের দিকে ঘুরে যায়।
লিউং এখন ডোনাল্ড সাংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ডোনাল্ড এর আগে টানা দুই মেয়াদে এই দায়িত্ব পালন করেছেন, আর এ কারণে তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
রোববার ভোটে ৬৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন লিউং। ভোটার মোট এক হাজার ২শ’ যাদের বেশিরভাগই চীনা সরকারের প্রতি অনুগত।
এদিকে বেইজিং প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, তারা অধিকতর জনপ্রিয় প্রার্থীকেই নির্বাচিত দেখতে চান। তবে স্পষ্টবাদী ও গণতন্ত্রপন্থী হওয়ার কারণে আলবার্ট হো চীনা সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেননি বলে অনেকে মনে করছেন।
একই দিন সাধারণ জনগণ নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে। তাদের অভিযোগ, অভিজাতদের ভোটে অভিজাতরাই বারবার হংকংয়ের নির্বাহী নির্বাচিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হংকং ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে ছিল। এখন এই নগরী চীনের কাছে থেকে অনেক বেশি স্বায়ত্তশাসন আদায় করে নিয়েছে।