পদ্মা সেতু নিয়ে দাতাদের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত এ প্রকল্পে মালেশিয়ার অর্থায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার।
রোববার রাতে অর্থমন্ত্রণালয়ে পদ্মা সেতুতে মালয়েশিয়ার অর্থায়নের আগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের অর্থায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এর আগে বাংলাদেশে নব নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নে যাদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৪টি দাতা প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাংক, জাইকা, এডিবি ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক’র সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আমাদের সময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা আওতায় রেলওয়ের ২/৩টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর ও ঢাকা-নারয়ণগঞ্জ রেল প্রকল্প রয়েছে। এডিবির সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের লাই বসানোর জন্য চুক্তি হয়েছে। তারা (ভারত) বলেছে এডিবির সঙ্গে সমেঝোতা হলে তারা অর্থ ছাড় করবে। এডিবির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, এখন তারা অর্থ ছাড় করবে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারতের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি চুক্তির প্রক্রিয়ার অনুমোদন হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ বিকেলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানীর লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনভিভিএন’র মধ্যে স্বাক্ষরিত পাওয়ার পারসেস এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ প্রকল্পের আওতায় ২৫০ মে: ওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে সরকার।