সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি : সিইসি

সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি : সিইসি

932প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, পৌর নির্বাচনের পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। সেনা মোতায়েনের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। বিদ্যমান  র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবিসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে।

শনিবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, এমপি মন্ত্রীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে  রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আশা করি মন্ত্রী এমপিরা আর আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না।

কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের সঠিক সংখ্যা ইসির কাছে নেই। তবে যদি কোনো কেন্দ্রে অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা মোতায়েন করব। আমরা খুবই আশাবাদী ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োগ দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ সম্পর্কে সিইসি বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধার যে অভিযোগ উঠেছিল তা যেন এবার না হয় সে নির্দেশনা দিয়েছি। সাংবাদিকরা ইসির পাস নিয়ে কেন্দ্র প্রবেশ করতে পারবেন। তাদের প্রতিবেদন দেখে আমাদের ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশের কারণে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। আর সাধারণ কেন্দ্রে থাকবে ১৯ জন সদস্য। এছাড়াও দুইজন মেজিস্ট্রেটসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

পৌর নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবং সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। সিইসি ছাড়াও বৈঠকে অন্যান্য কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব যোগ  দেন।

বৈঠকে ২৩৪ পৌরসভার রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিবি ও কোস্টগার্ডসহ সব বাহিনীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ