তাকে বলা হয় টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান। কারণটাও স্বাভাবিক। গত মৌসুমে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টি ধুম ধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের খেলা। আর এই সংস্করণের ছোঁয়া পেতেই বিধ্বংসী হয়ে গেলেন ইমরুল কায়েস। এবারের বিপিএলে সর্বাধিক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
গত মঙ্গলবার শেষ হওয়া বিপিএলের তৃতীয় আসরে মোট ৪২বার সীমানার বাইরে বল মেরেছেন ইমরুল। এর মাঝে চারের মার ৩২ এবং ছক্কা ছিল ১০টি। ১২ ইনিংস ব্যাট করে ৩১২ রান সংগ্রহ করেছেন এই বাঁ হাতি। এর মধ্যে শতকরা ৬০ দশমিক ২৬ ভাগ রান এসেছে সিমানা পার করে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে টুর্নামেন্টে সর্বাধিক তিন বার শুন্য রানে আউট হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
এরপরেই ৪১ বার করে বল সীমানা পার করেছেন চিটাগাং ভাইকিংসের তিলকারাত্নে দিলশান । ইমরুলের চেয়ে একটি চার কম মেরেছেন এই লঙ্কান। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আরেক লঙ্কান ও এবারের আসরের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী ঢাকা ডাইনামাইটসের কুমার সাঙ্গাকারা। ৩৫টি চার এবং ৫টি ছক্কাসহ মোট ৪০টি বাউন্ডারি মেরেছেন এই কিংবদন্তী।
তবে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে স্বাভাবিকভাবেই শীর্ষে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য ক্রিস গেইল। ৪ ম্যাচে ১৩৯ রানের মধ্যে ৮৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ রান এসেছে তার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ১২টি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। তার পরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কান দিলশান মুনাবীরা। ৭৮ দশমিক ৬১ শতাংশ রান করেছেন সিমানা পার করে। বুমবুম খ্যাত শহিদ আফ্রিদি তার সংগ্রহের ৭৩ দশমিক ৫৬ রান পেয়েছেন বাউন্ডারি থেকে।
বাংলাদেশের হালের সেনসেশন সৌম্য সরকার এবারের আসরে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তবে মোট রানের ৬৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ রান সীমানা পার করে পেয়েছেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।